তালা

পাটকেলঘাটায় কপোতাক্ষের মাটি কেটে ইট তৈরির অভিযোগ

By Daily Satkhira

January 12, 2018

পাটকেলঘাটা প্রতিনিধি : প্রকাশ্যে কপোতাক্ষের ভেড়িবাঁধের মাটি কেটে ইট তৈরি করে অভিযোগ উঠেছে মেসার্স ফারাহ্ ব্রিকসের বিরুদ্ধে। সরজমিনে যেয়ে দেখাযায় পাটকেলঘাটা কাটাখালী নামক স্হান হতে ফারাহ্ ব্রীকসে কর্মরত আচিমতলা গ্রামের কিয়ামুদ্দিন মোড়লের পুত্র শহিদুল মোড়ল(৪৫)এর নেতৃত্বে কপোতাক্ষের ভেড়ীবাধের মাটি কেটে ট্রলিকরে মেসার্স ফারাহ্ ব্রীকস ইট ভাটায় নেওয়া হচ্ছে। তথ্যনুসন্ধানে জানাযায় পাটকেলঘাটা-মাগুরা সড়কের আচিমতলা নামক স্থানে গ্রামের জনবসতি ও কৃষিজমির মাঝে যুগিপুকুরিয়া গ্রামের মৃত খোকা মোড়লের পুত্র রেজাউল ইসলাম বাবু মেসার্স ফারাহ্ ব্রীকস নামে অবৈধ ভাবে ইটভাটা গড়ে তুলেছে। উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড একাধিক বার কপোতাক্ষের পাড়ে জলাবদ্ধ রক্ষাবাঁধের মাটি কর্ত্তন না করার জন্য নোটিশ এবং গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে, কিন্তু তার পরও সে নির্দ্দেশ মানা হচ্ছেনা। কাটাখালী স্থানে নদীর ভেড়িবাধের মাটি কাটার সময় স্থানীয় সাংবাদিকরা উক্ত স্থানীয় উপস্থিত হয়ে স্থানীয় তহশীলদার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ফোনে জানান কিন্তু দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ চোখে পড়েনি। এর আগেও বহুবার লক্ষ লক্ষ ঘনফুট মাটি কপোতাক্ষের পাড় হতে কেটে নেওয়া হয়েছে বলে এলাকা বাসি জানান, এবং এ কাজ বন্ধকরার জন্য এর আগেও গণদরখাস্ত দিয়েছেন। অনুসন্ধানে দেখাগেছে ইটভাটাটির বৈধকোন কাগজপত্র নাই নাই জেলা প্রশাসনের অনুমোদন। জেলা প্রশাসনের জুডিসিয়াল মুন্সিখানার প্রধান সহকারী মোশারফ হোসেন জানান মেসার্স ফারাহ্ ব্রিকস মালিক বিগত ২০১৪ ইঃ সনে একবার অনুমোদন নিয়েছিলেন কিন্তু পরবর্তীকালে আর নবায়ন করেন নাই। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্হাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ অনুযায়ী জনবসতি, গ্রামীণ সড়ক ও কৃষি জমির মধ্যে কোন ভাবেই ইটভাটা গড়ে তোলা যাবেনা। তাছাড়া পরিবেশ অধিদপ্তর এর ছাড়পত্র এবং জেলা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া অবৈধ ভাবে কার্য্যক্রম পরিচালনা কারিদের জের জরিমানার পাশাপাশি সকল মালামাল জব্দপূূর্বক বাজেয়াপ্ত করার বিধান থাকলেও এ ক্ষেত্রে সেটা প্রয়োগ হচ্ছেনা। স্থানীয় বাসিন্দা কাটাখালী গ্রামের আজিজুর রহমান, সাজ্জাত শেখ সহ অনন্য অনেকের অভিযোগ এভাবে আর কতদিন চলবে ইটভাটার চিমনির কালো ধোয়ায় ফসলের এবং ফল ফুলুরির উৎপাদনে ব্যাপক প্রভাব পড়ছে ট্রলিতে করে মাটি পরিবহণের কারণে গ্রামের রাস্তাগুলার বেহালদশা হয়েছে, ধুলাবালিতে এলাকায় বসবাসের অনুপয়োগী পরিবেশ বিরাজ করছে। বৃষ্টির সময় রাস্হাঘাটের অবস্থা আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে। এ অবস্থার অবসান দাবি করেছেন এলাকাবাসি।