সাতক্ষীরা

তুজলপুর-রাজবাড়ি সড়ক কেটে চলছে মৎস্য ঘের, পথচারীরা চরম দুর্ভোগ

By Daily Satkhira

January 15, 2018

মাস্টার মফিজুর রহমান : সদর উপজেলার ১১নং ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের তুজুলপুর থেকে রাজবাড়ি পর্যন্ত প্রায় সাড়ে দেড় কিমি রাস্তা লোক ও যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন অসংখ্য যাত্রী অবর্ণনীয় দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে। শুধু সাধারণ মানুষই নন, এলাকার স্কুল কলেজ পড়ুয়া কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রী, শিশু ব্যবসায়ী সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের এই রাস্তার সাথে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ রয়েছে। শুধু তাই নয় তুজলপুর-রাজবাড়ি সড়কের মধ্যবর্তী স্থানে সরকারি রাস্তা কেটে চলছে মৎস্য ঘের। এর যেন মরার উপর খাঁড়ার ঘাঁ। আনুমানিক প্রায় ৩০ফুটের মত রাস্তা কেটে তৈরি করা হয়েছে অবৈধ মৎস্য ঘের। তুজলপুর, রাজবাড়ি, ঝাউডাঙ্গা, রঘুনাথপুর, হাচিমপুর, ভাটপাড়া সহ আরো কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষের প্রতিদিন এরাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয়। বিশেষ করে রাজবাড়ি, ঝাউডাঙ্গা, রঘুনাথপুর ও হাচিমপুর থেকে প্রতিদিন প্রায় দেড় শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী তুজলপুর জি.সি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া করে। তাদেরসহ স্থানীদের যাতায়াতের বিকল্প পথ হিসেবে তৈরি করা হয়েছে বাঁশের সাঁকো। দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে রাস্তাটিতে চলাচল ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আল মামুন (রানা) বলেন, রাস্তাটির ব্যাপারে স্থানীদের সাথে আলোচনা হয়েছে। স্থানী ঘের মালিকেরা নিজস্ব অর্থায়নে পানি নিষ্কাশনের জন্য কালভার্ট নির্মাণ করে। কিন্তু সেটি প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট নয়। এরই মধ্যে তুজলপুর গ্রামের আব্দুল জব্বার সেখানে জমি কিনে বাড়ি তৈরি করায় কালভার্টটিতে পানি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তাই স্থানীয় ঘের মালিকেরা কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়েই রাস্তা কাটা হয়। পথচারী ৯ম শ্রেণির ছাত্রী রাখি ঘোষ বলেন, প্রতি বছর বর্ষার সময় রাস্তাটি কাটার কারণে আমাদের স্কুলে যেতে কষ্ট হয়। কখনো কখনো বাশের সাঁকো পার হতে যেয়ে বই খাতা নিয়ে পা পিছলে পানিতে পড়তে হয়। তুজলপুর জি.সি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক মোহন লাল ঘোষ বলেন, রাস্তা কাটার কারণে পায়ে হেঁটে স্কুলে পৌঁছাতে পৌঁছাতে মাঝে মাঝে দেরি হয়ে যায়। মোটরসাইকেল বা বাইসাইকেল নিয়েও যেতে পারি না। বর্ষা মৌসুমে পানিতে রাস্তার দুপাশে ছোট- বড় গর্ত সহ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এছাড়া রাস্তার একটি বড় অংশ ভেঙে পুকুর ও ঘেরের সাথে মিশে গেছে। ভ্যান, নছিমন,সাইকেল, মোটরসাইকেলসহ অন্নান্য যানবাহন নিয়ে মানুষ চলাচল করতে পারছে না। ফলে স্থানীয় কৃষকেরা প্রতিনিয়ত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সেই সাথে দূরবর্তী এলাকার মানুষ উৎপাদিত পণ্য পরিবহনের কারণে ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যার ফলে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে এলাকার পথচারীরা। এলাকাবাসী যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে বার বার বিষয়টি তুলে ধরলেও কোন লাভ হয় নি। ক্ষত বিক্ষত রাস্তাটি আর কত দিন উপেক্ষায় থাকবে, নাকি অচিরেই রাস্তাটি আবার মিলিত হবে এ প্রত্যাশা আজ জনমনে।