ন্যাশনাল ডেস্ক: নেতা-কর্মীদের অপকর্ম থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, পুলিশের কনস্টেবলের চাকরির ভাগাভাগিতে টাকার বিনিময়ে অংশ নেওয়া নেতা আওয়ামী লীগে প্রয়োজন নেই। প্রাইমারি স্কুলের নৈশপ্রহরীর চাকরির জন্য টাকা নেওয়া নেতা শেখ হাসিনার দরকার নেই। রোববার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের লালদীঘি ময়দানে আয়োজিত এক শোকসভায় ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর স্মরণে এই সভার আয়োজন করে চট্টগ্রাম নগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ। এতে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাবউদ্দিন চৌধুরী। ওবায়দুল কাদের বলেন, একজন রাজনীতিকের জীবনে মানুষের ভালোবাসার চেয়ে বড় সম্পদ আর কিছু নেই। মহিউদ্দিন চৌধুরীর মৃত্যুর পর তাঁর জানাজায় লাখো মানুষের উপস্থিতি ঘটেছে। কারণ, তিনি মাটি ও মানুষের রাজনীতি করেছেন। মানুষের মনের ভাষা বুঝেছেন। নেতা-কর্মীদের আচরণে শুদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আচরণ ভালো না হলে শত উন্নয়ন ম্লান হয়ে যাবে। তাই নেতা-কর্মীদের আচরণ ভালো করতে হবে। মানুষের চোখের ভাষা ও মনের ভাষা বুঝে রাজনীতি করতে হবে। নেতা-কর্মীদের অপকর্ম থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যে নেতা জনতার না, ওই নেতার দরকার নেই। যে নেতা পুলিশের কনস্টেবলের চাকরির ভাগাভাগিতে টাকার বিনিময়ে অংশ নেয়, গরিব মানুষ থেকে টাকা আদায় করে, সেই নেতা আওয়ামী লীগের প্রয়োজন নেই। যে নেতা প্রাইমারি স্কুলের নৈশপ্রহরীর চাকরির জন্য গরিব মানুষ থেকে টাকা নেয়, সেই নেতা শেখ হাসিনার দরকার নেই।’ আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নেতারা নেতা বানায়। কিন্তু আপনারা পকেট কমিটি করবেন না, পকেট ভারী করবেন না। আমি জানি, দুঃসময়ের অনেক কর্মী এখানে আছেন, যাঁরা কোণঠাসা। দুঃসময়ের কর্মীদের কমিটিতে জায়গা থাকলে আওয়ামী লীগ অনেক শক্তিশালী থাকবে। যখন অন্ধকার, দুর্দিন, তখন ছিলেন মহিউদ্দিন। শীতের অতিথি পাখিরা আসে। আবার শীত চলে গেলে পাখিরা চলে যায়। ক্ষমতা যখন থাকবে না, তখন পাঁচ হাজার ওয়াটের বাতি দিয়ে এখানে উপস্থিত অনেককে পাওয়া যাবে না।’ আত্মসমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কাজ করতে গেলে ভুলত্রুটি হয়। আমাদেরও ভুলত্রুটি আছে। চাঁদেরও কলঙ্ক আছে। কিন্তু তাই বলে চাঁদের ঔজ্জ্বল্য নষ্ট হয় না। আমরা ভুল সংশোধন করি। যারা অপরাধ করেছে, তাদের জেলে পাঠানো হয়েছে। আমাদের এমপি কারাগারে, মন্ত্রীপুত্র কারাগারে। কিন্তু বিএনপির আমলে এসব কল্পনা করা যেত না।’