আব্দুল জলিল: যাত্রার নামে সাতক্ষীরার আশাশুনিতে আবারও শুরু হয়েছে অশ্লীল নৃত্য ও জুয়া খেলা। শনিবার রাত্রি থেকে শুরু হওয়া এই অশ্লীলতার প্রতিবাদ করেছেন এলাকাবাসী। তারা বলেন এসএসসি পরীক্ষা সামনে। এমন সময়ে এ ধরনের অশ্লীলতা ছাত্রছাত্রীদের মনোযোগ কেড়ে নিচ্ছে। এতে তাদের লেখাপড়ার ক্ষতি হচ্ছে। গ্রামবাসী জানান আশাশুনি সদর ইউনিয়নের শবদালপুর ও কোদন্ডার মধ্যবর্তী স্থানে চলছে এই যাত্রা ও জুয়া। সেখানে ভিড় হচ্ছে জুয়াড়ি মাদকসেবী ও সামাজিক অপরাধী চক্রের। রাতভর জুয়ার সময় এলাকায় আইন শৃংখলার অবনতিও হতে শুরু করেছে। স্থানীয়রা জানান, ৩০০ টাকা ও ১০০ টাকা টিকিটে যাত্রা শুনতে আসছেন আগ্রহীরা। বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিদুল ইসলাম শাহিন জানান সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ‘তাজমহল’ যাত্রার অনুমতি দিয়েছে। থানায় অনুমতির একটি কপি আছে। জানতে চাইলে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন বলেন সেখানকার একটি মন্দির সংস্কারের লক্ষ্যে মন্দিরের সভাপতি দীপংকর মন্ডল একটি অনুমতি নিয়েছেন। সেখানে জুয়া ও অশ্লীল নৃত্য এমন কিছু হয়ে থাকলে তা বন্ধ করে দেওয়া হবে। আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সুষমা সুলতানা বলেন, দশ দিনের অনুমতি নিয়ে যাত্রা শুরু হয়েছে। তবে কোনো ধরনের আপত্তিকর প্রদর্শন থেকে থাকলে তা বন্ধ করে দেওয়া হবে। আশাশুনি সদর ইউপি চেয়ারম্যান সম সেলিম রেজা মিলন জানান, যাত্রার অনুমতির বিষয়ে তার কোনো মতামত নেওয়া হয়নি। শবদালপুর হাজরাতলা কালিমন্দিরের সভাপতি দীপংকর মন্ডল বলেন ‘শনিবার রাত থেকে যাত্রা শুরু হয়েছে। ডিসি, এসপি, ইউএনও সবার অনুমতি আছে। তবে অশ্লীল নৃত্য বা জুয়ার খবর বলতে পারি না। ২০০ টাকা ও ১০০ টাকার টিকিটের বিনিময়ে এই যাত্রা হচ্ছে’। তিনি আরও বলেন, যাত্রার অনুমতির জন্য এ যাবত প্রায় তিন লাখ টাকা আমরা ব্যয় করে ফেলেছি। যাত্রা পার্টিকে প্রতি রাতে ২০ হাজার টাকা দেওয়ার চুক্তি হয়েছে। তবে এসএসসি পরিক্ষার মুখে এই আয়োজন করা ভুল হয়ে গেছে’।