শারীরিক তৎপরতার মতো খাদ্যও সুস্বাস্থ্য এবং সুস্থ থাকার জন্য জরুরি। এমনকি আমাদের মস্তিষ্কেরও ধারালো এবং সক্রিয় থাকার জন্য পুষ্টি উপাদান জরুরি। তথাপি বাজে খাদ্যাভ্যাস আমাদের মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। এমন কিছু খাবার আছে যেগুলো অ্যালঝেইমার বা স্মৃতিভ্রংশ রোগ সৃষ্টি করতে পারে। প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাস বদলে ফেলে এবং কিছু অস্বাস্থ্যকর খাবার এড়িয়ে চললেই আপনি স্মৃতি হারানোর ঝুঁকি থেকে বাঁচতে পারেন। আর খাদ্য তালিকায় এমন সব খাদ্য যুক্ত করতে হবে যেগুলো স্মৃতিশক্তি বাড়াবে। কারণ স্মৃতি শক্তি কমে গেলে ঘুমের ব্যাঘাত হওয়া এবং অবসাদে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। এখানে রইল এমন পাঁচটি খাদ্যের তালিকা যেগুলো স্মৃতিশক্তি নষ্ট করতে পারে।
১. টুনা মাছ টুনা মাছে আছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং এটি সার্বিক স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। তবে পরিমিত পরিমাণে খেলেই শুধু তা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হতে পারে। সপ্তাহে মাত্র দুবার টুনা মাছ খাওয়া উচিত। অথবা শুধু শরীরচার্চার পরেই টুনা মাছ খাওয়া উচিত। অতিরিক্ত টুনা মাছ খেলে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা কমে যেতে পারে। কেননা এতে আছে উচ্চমাত্রায় পারদ। পারদ মস্তিষ্কের কার্যকারিতা নষ্ট করতে পারে। টুনার বদলে স্যামন জাতীয় মাছ খেলে বেশি উপকারীতা পাওয়া যাবে।
২. সয়া যে কোনো রুপে সয়া খেলে, হোক তা টফু বা সয়া সস, তা উপকারের চেয়ে ক্ষতিই বেশি করে। এতে আছে উচ্চ মাত্রার লবণ এবং সোডিয়াম যা মস্তিষ্কের জন্য বেশ ক্ষতিকর। এ থেকে এমনকি হাইপারটেনশনও হতে পারে। যা থেকে মস্তিষ্কে রক্তচাপ কমে গিয়ে স্মৃতিভ্রংশ বা সাংগঠনিক দক্ষতা কমে যাওয়ার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
৩. অ্যালকোহল অ্যালকোহল পানের ফলে আপনার মস্তিষ্কে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতিকর কোনো প্রভাব পড়তে পারে। এমনকি সামান্য অ্যালকোহল পানের ফলেও আপনার মস্তিষ্কের কোষগুলো দূর্বল হয়ে পড়তে পারে এবং স্মৃতিভ্রংশ হতে পারে।
৪. কমলার জুস কমলার জুস রক্তে সুগারের মাত্রা বাড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে জড়িত। যা নানা কারণে স্বাস্থ্যকর নয়। রক্তে সুগারের মাত্রা বেড়ে গেলে জ্ঞানীয় দক্ষতায় অকার্যকারিতা দেখা দিতে পারে। এর ফলে আপনি সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের সক্ষমতা হারাতে পারেন বা আপনার যুক্তি-দক্ষতা অথবা সুসংগঠিতভাবে কাজ করার সক্ষমতাও কমে যেতে পারে।
৫. সাদা চাল এটি আপনার মানসিক ফাংশনে সমস্যা তৈরি করতে পারে। কেননা এতে কার্বোহাইড্রেটের মাত্রা অনেক বেশি। এ থেকে মানসিক অবসাদে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বাড়তে পারে। আপনি চাইলে এর বদলে গমজাতীয় খাদ্য খেতে পারেন যা খেতেও সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকরও বটে।