এশিয়ার দলগুলোর জন্য নিউজিল্যান্ড কেন যেন বরাবরই অজেয়। সফরে যাওয়ার আগের প্রাপ্তিগুলোও মিশিয়ে যায় হিমশীতল বাতাসে। সেই তালিকায় ব্যতিক্রম নয় পাকিস্তানও। স্বাগতিকদের বিপক্ষে চতুর্থ ওয়ানডেতে পরাজিত হয়ে সরফরাজের দল দাঁড়িয়ে তাই হোয়াইটওয়াশের দ্বারপ্রান্তে।
হ্যামিলটনে মাঠে নামার আগে পাকিস্তানের সঙ্গী হয়েছিল তৃতীয় ম্যাচে মাত্র ৭৪ রানে অলআউট হয়ে যাওয়ার দুঃসহ স্মৃতি। চতুর্থ ম্যাচে হেরে গেলেও সেটা অবশ্য ততটা নির্মম ছিল না। আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া পাকিস্তানের সংগ্রহ ছিল ৮ উইকেটে ২৬২ রান। জবাবে ২৫ বল হাতে রেখে ৫ উইকেট হারিয়েই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় কিউইরা। তুলে নেয় ৫ উইকেটের সহজ জয়।
মার্টিন গাপটিল আর মুনরোর ব্যাটে সহজ হয়ে গিয়েছিল নিউজিল্যান্ডের জয়ের রাস্তা। উদ্বোধনী জুটিতে এই দুইজন সংগ্রহ করেন ৮৮ রান। তবে নাটকের শুরুটা হয় এরপরেই।
মাত্র ১১ রানের ব্যবধানে স্বাগতিকরা হারিয়ে বসে ৪ উইকেট! এর মধ্যেই তিন উইকেটই তুলে নেন লেগ স্পিনার শাদাব খান। অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসন ইনিংসটা মেরামতের কাজ শুরু করেন হেনরি নিকোলাসকে সঙ্গে নিয়ে।
৫৫ রানের জুটি গড়ে সাজঘরে পথে হাঁটতে হয় উইলিয়ামসনকেও। এরপরে মাঠে নেমেই পাকিস্তানি বোলারদের উপর রীতিমত টর্নেডো বইয়ে দেন কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম।
ম্যাচ জিতিয়ে গ্র্যান্ডহোম যখন মাঠ ছাড়ছেন নামের পাশে তখন জ্বলজ্বল করছে ৪০ বলে ৫ ছয় আর ৭ চারে গড়া ৭৪ রানের অপরাজিত ইনিংস। সাথে নিকোলাসও দেখা পান অর্ধশতকের। ১০৯ রানের জুটি গড়ে দু’জন মিলে নিউজিল্যান্ডকে এনে দেন পাঁচ উইকেটের জয়।
এর আগে দিবা-রাত্রির ম্যাচে প্রথম ব্যাটিংয়ে নেমেই যেন আগের ম্যাচের ‘জুজু’ ভর করেছিল টিম পাকিস্তানের উপরে। ১১ রান তুলতেই নেই ২ উইকেট! ফখর জামান আর হারিস সোহেলের ব্যাট আপাতত রক্ষা করেছিল পাকিস্তানকে।
৮৬ রানের জুটি গড়ে দলের পায়ের নিচের মাটি এনে দেয়ার পাশাপাশি দু’জনই দেখা পেয়েছেন অর্ধশতকের। আর সেই শক্ত ভিতকেই কাজে লাগিয়ে মোহাম্মদ হাফিজ উইলোতে এঁকেছেন ৮১ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। ৮০ বলের ইনিংসটা হাফিজ সাজিয়েছেন ৪ ছয় আর ৫ চারে। সাথে কাপ্তান সরফরাজের ঝড়ো ৫১ রান পাকিস্তানকে পার করে দেয় আড়াইশ’র ঘর।
আগের ম্যাচেই পাকিস্তানকে গুঁড়িয়ে দেয়া ট্রেন্ট বোল্ট এ ম্যাচে বল হাতে গুনেছেন ১০ ওভারে ৭৩ রান, উইকেট ১টি। টিম সাউদির ঝুলিতে পুরেছেন ৩ উইকেট। কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম ঘোষিত হয়েছেন ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ হিসেবে।