সিটি করপোরেশনে একমাত্র নারী মেয়র আইভী অবিলম্বে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের পদত্যাগ দাবি করেন।
পুলিশের নীরব ভূমিকার ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা পুলিশ সুপার মইনুল হক বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলের মাঝখানে থেকে উভয় পক্ষকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেছি। জানমালের নিরাপত্তা দিতে চেষ্টা করেছি।’
আইভী অভিযোগ করেছেন, ‘শামীম ওসমানের প্রতি আপনারা সহানুভূতিশীল ছিলেন’, এর জবাবে পুলিশ সুপার বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ছিল জানমালের নিরাপত্তা রক্ষা করা।’
আইভীর অভিযোগের ব্যাপারে ক্ষমতাসীন দলের সাংসদ শামীম ওসমান বলেন, ‘আমি সেখানে প্রথমে ছিলামই না। আমার দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাহেব আমাকে বিকেলে ফোন করে বলেন, সেখানে যা হচ্ছে তা বন্ধ করতে। পরে আমি সেখানে যাই এবং উত্তেজিত লোকজনকে সরিয়ে আনতে সক্ষম হই। আইভী কারও সঙ্গে কোনো কথা না বলে রাস্তায় নামলেন। তাঁর সঙ্গে ছিল যুবদলের খুনের আসামিরা। পরে তারা হকারদের মারধর করেছে। পরে হকাররা উত্তেজিত হলে সংঘর্ষ হয়। আইভীর লোকজনও গুলি চালিয়েছে। ককটেল ফাটিয়েছে। ১০ জন হকার আহত হয়েছেন।’ নিয়াজুল নামে এক ব্যবসায়ীর লাইসেন্স করা পিস্তল কেড়ে নিয়ে তাঁকে মারধর করে টাকাপয়সা কেড়ে নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। শামীম ওসমান বলেন, ‘এটা কোনো রাজনৈতিক বিষয় ছিল না। সম্পূর্ণ মানবিক ব্যাপার। আমি একটা দল করি। সেই দলের আদর্শ বহন করাই আমার দায়িত্ব। আমার নেত্রী জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা পৃথিবীতে মাদার অব হিউম্যানিটি উপাধি পেয়েছেন। তিনি বলেছেন, আমরা খেলে ১০ লাখ রোহিঙ্গাও খাবে। একনেকে সিদ্ধান্ত, উচ্ছেদের আগে পুনর্বাসন। এটা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ। আমার আবেদন ছিল ২৫ দিন ধরে নিরীহ হকাররা রাস্তায় ঘুরছেন। তাঁদের কোনো বিকল্প ব্যবস্থা করে যেন ফুটপাত মুক্ত করা হয়।’