নিজস্ব প্রতিবেদক: হালকা পরিচয় বা মোবাইলে কথা। পুরুষকে দুর্বল করার মত এমন প্রেম অথবা ভালবাসার অভিনয়। এরপর আহবান করা হয় মেহমান হিসেবে বাসায়। আর বাসায় গেলেই কথা হচ্ছে বা মেহমানদারি হচ্ছে এমন সময় বাসায় হাজির পুলিশ। শুরু হয় এ দু’নারির নতুন নাটক। নারির টোপে পড়ে ব্লাক মেইলিং এর শিকার এমন পুরুষ ও দু নারিকে আটক করেছে সদর থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে শহরের মধুমল্যার ডাঙ্গী (খুলনার রোডের নীচে) ভাড়াবাসিন্দা সুমন বিশ^াস, রুমা খাতুন ইতি ও সুমি খাতুনকে আটক করা হয়। পুলিশ জানায়, শহরের মধুমল্যার ডাঙ্গী (খুলনার রোডের নীচে) একটি ভাড়াবাসায় বসবাস করেন ওষুধ কোম্পানির রিপ্রেজেনটিভ সুমন বিশ^াস। সে ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারি থানার চতুল গ্রামের বাবুল বিশ^াসের ছেলে। পূর্ব পরিচয় সূত্রে বৃহস্পতিবার রাতে সুমন বিশ^াসের বাসায় যায় ইতি ও সুমি। এরপর সেখানে কিছু সময় অবস্থানের পরপরই পৌঁছায় সদর থানার এসআই মিরাজ হোসেন। এক পর্যায়ে ইতি, সুমি ও সুমনকে রাতে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। শুক্রবার তাদেরকে ২৯০ ধারায় মামলা দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, সুমি খাতুন সাতক্ষীরা আদালতের পেছনে সবুজবাগের মনিরুজ্জামানের মেয়ে। অপর দিকে রুমা খাতুন ওরফে ইতি সে সদরের ধুলিহর গ্রামের তমেজ উদ্দীন সরদারের মেয়ে। সে একাই ভাড়া থাকে শহরের কামালনগর গোরস্থান এলাকায়। তারা উভয় মিলে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পুরুষদের নানা কৌশলে বাড়িতে ডেকে অথবা তাদের বাড়িতে যেয়ে ব্লাক মেইলিং করে হাজার টাকা কামিয়ে চলেছে। জানা গেছে, সদর থানার পিছনের এক দোকানদার ইতির কাছে আড়াই হাজার টাকা পায়। তার পাওনা টাকা চাইলে ইতি তার বাড়িতে যেতে বলে। পাওনাদার ইতির বাড়িতে টাকা চাইতে গেলে ঘরের মধ্যে বসিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে সেখানে পৌছায় সদর থানার পুলিশ। এরপর শুরু হয় দরদাম। পাকাপোল মোড়ের একজন ফল ব্যবসায়ী বন্ধুত্বের খাতিরে ৫০ হাজার টাকার জামিন হয়ে পাওনাদারকে ছাড়িয়ে নেয়। আছে আরও অনেক ঘটনা। এভাবে ইতি আর সুমির পুরুষধরা ফাঁদে পড়ে সর্বশান্ত হয়েছেন অনেকেই। তবে মুখ খোলেনা কেউ। সার্বিক বিষয়ে ক্ষতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি শহরবাসীর।