শিক্ষা

সাতক্ষীরায় এনসিটিবি’র অনুমোদনহীন বই বাজারজাত চেষ্টার অভিযোগ

By Daily Satkhira

January 21, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরায় শিক্ষক নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে বছরের শুরুতেই আবারও জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি’র) অনুমোদনহীন বই মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বাজারজাত করতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে অনুমোদনহীন এসমস্ত বই বাজারে সয়লাব হয়ে গেছে বলে জানা গেছে। সমিতির একাধিক নেতৃবৃন্দ নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ২০১৮ সালে সাতক্ষীরা সদর ও আশাশুনি উপজেলার শিক্ষক সমিতি সকল মাধ্যমিক স্কুলে এনসিটিবি’র অনুমোদনহীন পাঞ্জেরী পাবলিকেশনের ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত ৮টি ইংরেজি ও বাংলা গ্রামার বই পড়ানোর জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। স্কুলগুলো যেহেতু শিক্ষক সমিতি নিয়ন্ত্রণ করে সেকারণে বইগুলোর গুণগত কোন মান না থাকলেও তারা শিক্ষার্থীদের পড়াতে বাধ্য করা হচ্ছে। আর এনসিটিবি’র অনুমোদনহীন ঢাকার পাঞ্জেরী পাবলিকেশনের নামের এই বই কোম্পানির সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন সাতক্ষীরার পপুলার লাইব্রেরির মালিক ও কেন্দ্রীয় পুস্তক প্রকাশক সমিতির পরিচালক শফিউল্লাহ ভুইয়া সাগর। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক নেতারা জানান, শিক্ষক সমিতির নির্ধারিত বই যদি স্কুলে পড়ানোর না হয় তাহলে ওই স্কুলকে মোটা অংকের টাকা জরিমানা দিতে হবে শিক্ষক সমিতিকে। সাতক্ষীরা সদর উপজেলা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিএম শামসুল হক জানান, সদর উপজেলা শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে এধরনের কোন বই ধরানো হয়নি। আশাশুনি উপজেলা শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া জানান, আমি সমিতির সাথে আর থাকবো না। সমিতিতে থাকলে আমার কাজের ব্যাঘাত ঘটে। আমি দ্রুত পদত্যাগ পত্র পাঠাবো। আপনি সমিতিরি সভাপতি (নীল কন্ঠ সোম) এর কাছ থেকে বিস্তারিত জানেন। আশাশুনি উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি নীলকণ্ঠ সোম জানান, আমাদের শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ নোট-গাইড ও এনসিটিবির অনুমোদনবিহীন ইংরেজি ও বাংলা ব্যাকরণ বই পাঠ্য তালিকায় অর্ন্তভূক্তি করার জন্য কোন প্রকার নির্দেশনা দেয়া হয়নি। কিছু পুস্তক ব্যবসায়ী বিভিন্ন স্কুলে স্কুলে যেয়ে তাদের বই পাঠ্য তালিকায় অন্তর্ভূক্তি করার চেষ্টা করছেন। াতক্ষীরার পপুলার লাইব্রেরির মালিক ও কেন্দ্রীয় পুস্তক প্রকাশক সমিতির পরিচালক শফিউল্লাহ ভুইয়া সাগর জানান, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সঠিক নয়। একটি স্বার্থন্বেষী মহল আমার নামে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

জেলা পুস্তক প্রকাশক সমিতির সাবেক সভাপতি শেখ শরিফুল ইসলাম জানান, কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত লোকের জন্য আমাদের পুস্তক প্রকাশক সমিতির ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। তিনি যারাই এ সমস্ত অনিয়ম-দুর্নীতির সাথে জড়িত তাদের আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানান। এ ব্যাপারে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এস এম সায়েদুর রহমান জানান, এক মাস আগে সকল উপজেলা শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দকে ডেকে মৌখিকভাবে সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ নোট গাইড ও এনসিটিবির অনুমোদনবিহীন ইংরেজি ও বাংলা ব্যাকারণ বই পাঠ্য তালিকায় অর্ন্তর্ভূক্তি না করার জন্য বলা হয়। এরপরও কেউ যদি সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ বই পাঠ্য তালিকায় অর্ন্তর্ভূক্ত করে তবে তার বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেয়া হবে।