ঢেঁড়স একটি অনন্য সবজি। ঢেঁড়সে রয়েছে ভিটামিন-এ, ‘ফাইবার’ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এর ফলে, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায় ঢেঁড়স।
ঢেঁড়সের রয়েছে অনেক ঔষধি গুণ যা শ্বাসকষ্ট প্রতিরোধ করে। এতে রয়েছে ‘পেকটিন’ নামের বিশেষ উপাদান, যা রক্তের বাজে কোলেস্টেরলকে কমাতে সাহায্য করে। এতে ‘অ্যাথেরোসক্লোরোসিস’ নামের জটিল রোগ প্রতিরোধ হয়।
গর্ভাবস্থায় ভ্রুণের মস্তিষ্ক তৈরিতে সাহায্য করে ঢেঁড়স। এই সবজি ‘মিসক্যারেজ’ হওয়া প্রতিরোধ করে।
ত্বকের বিষাক্ত পদার্থ দূর করে শরীরের টিস্যু পুনর্গঠনে ও ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে ঢেঁড়স। ঢেঁড়সের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি, অ্যান্টিইনফ্লামেটোরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান।
ঢেঁড়স অ্যাজমা প্রতিরোধে এবং অ্যাজমার আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে বেশ উপকারী।
কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি কমায় ঢেঁড়স।
ঢেঁড়স বিষণ্নতা, দুর্বলতা ও অবসাদ দূর করতে সাহায্য করে।
ঢেঁড়সে আছে বেটা-ক্যারোটিন, ভিটামিন-এ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও লিউটিন; যা চোখের গ্লুকোমা এবং চোখের ছানি প্রতিরোধে সাহায্য করে।
ঢেঁড়স ক্ষতিকর ‘ফ্রি র্যাডিক্যাল’-র বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন-সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজের মতো প্রয়োজনীয় মিনারেল রয়েছে ঢেঁড়সে। এগুলো রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়।
ঢেঁড়সে রয়েছে উচ্চপরিমাণ আঁশ। এটা হজমে সাহায্য করে। ‘পেকটিন’ অন্ত্রের ফোলা ভাব কমায় এবং অন্ত্র থেকে বর্জ্য সহজে পরিষ্কার করে।
ঢেঁড়স চুলের কন্ডিশনার হিসেবে বেশ ভালো। এটি খুশকি দূর করে এবং শুষ্ক মাথার ত্বকের জন্য উপকারী।
তাই, আসুন, অনন্য সবজি ঢেঁড়সের ওপর নির্ভরতা বাড়াই, ভালো থাকি।