নিজস্ব প্রতিবেদক: বেতন ভাতা বৃদ্বিসহ চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডাররা আন্দোলন করায় বন্ধ হয়েগেছে দেশর সাড়ে ১৩ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম। ফলে চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা। কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে সাতক্ষীরার ২২৪টি কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছে এ জেলার গ্রাম-গঞ্জের মানুষ। চিকিৎসাসেবা ও ঔষধ নিতে এসে ক্লিনিকে তালাবন্ধ থাকায় ফিরে যেতে হচ্ছে তাদের। বাংলাদেশ কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার এসোসিয়েশন এর সাংগঠনিক সম্পাদক আল-আমিন জানান, চাকরি জাতীয়করনের দাবিতে গত ২০ জানুয়ারী থেকে বাংলাদেশ সিএইচসিপি এসোসিয়েশনের কর্মীরা এক যোগে কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ রেখে আন্দোলনের ডাক দেয়। কর্মসূচির অংশ হিসাবে প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্েরর সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। কর্মসূচির অংশ হিসাবে সাতক্ষীরা জেলায় মোট ২২৪টি কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ রেখে গত ৪ দিন ধরে আন্দোলন কর্মসূচি পালন করছে সিএইচসিপিরা। ফলে ভেঙ্গেপড়ে তৃর্নমূলের স্বাস্থ্য সেবা। দাবী না মানায় তারা ৪র্থ দিনের মত সোমবার সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের সামনে অববস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। কর্মসূচিতে সাতক্ষীরা জেলার ৮টি উপজেলার ২২৪ জন কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত কমিউনিটি হেল্থ কেয়ার প্রোভাইডাররা অংশ গ্রহণ করেন। এ সময় সাতক্ষীরা জেলা দাবী আদায় বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ও বাংলাদেশ কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার এসোসিয়েশন এর সাংগঠনিক সম্পাদক আল-আমিন হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো: আলমগীর হোসেন, সদর উপজেলার সভাপতি হাসিবুর রহমান,আশাশুনি উপজেলার সভাপতি সেলিম রেজা, কালিগঞ্জের সভাপতি আব্দুস সালাম, তালার সভাপতি হাফিজুর রহমান, দেবহাটার আনোয়ার হোসেন প্রমূখ। সমাবেশে একাত্ততা ঘোষনা করে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা নাজমূল শাহদাৎ, হাবিবুর রহমান,শন্তসকুমার দাশ,নুরুল ইসলাম প্রমূখ। এসময় সিএইচসিপিরা তাদের বক্তবে বলেন, বেতন ভাতা বৃদ্বিসহ চাকরি রাজস্বক্ষাতে না যাওয়া পর্যন্ত কমিউনিটি ক্লিনিকে তারা ফিরে যাবেনা। কারনে ইতিমধ্যে তাদের অনেকের নতুন করে চাকুরির বয়সসীমা শেষ হয়েগেছে। প্রকল্প বন্ধ হয়েগেলে তাদেও চাকুরী হারাতে হবে। পরিবার পরিজন নিয়ে রাস্তায় বসতে হবে। তাই চাকরী রাজস্বক্ষাতে দেওয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তারা। এদিকে গত ৪দিন ধরে কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ রেখে আন্দোলনে মাঠে নামায় অচল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো। ফলে বিপাকে পড়েছে স্বাস্থ্য সেবা ও ঔষধ নিতে আসা গ্রাম গঞ্জের হতদরিদ্ররা। কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ রেখে সিএইচসিপিরা আন্দোলন করায় ভেঙ্গে পড়েছে জেলার তৃর্নমূলের স্বাস্থ্য সেবা।