আসাদুজ্জামান: তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ ছাত্রীলগের সাধারন সম্পাদক আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে সাধারন ছাত্রদের উপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাত ১১ টার দিকে মেডিকেল কলেজের ৪র্থ তলায়। উক্ত হামলায় মেডিকেল কলেজের তিন ছাত্র আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন, ৪র্থ বর্ষের ছাত্র সৈয়দ আরিফ সাকিল, আব্দুল গফুর ও রফিকুল মেহেদী। এদের মধ্যে সৈয়দ আরিফ সাকিলকে ওই রাতেই গুরুতর আহত অবস্থায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের কয়েকজন ছাত্র জানান, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ ছাত্রীলগের সাধারন সম্পাদক ও ৫ম বর্ষের ছাত্র আমিনুল ইসলাম প্রায়ই সাধারন ছাত্রদের ডেকে তার কথা মত চলার জন্য চাপ সৃষ্টি করতেন। তার কথা না শুনলে তিনি প্রায়ই সাধারন ছাত্রদের উপর খারাপ ব্যবহার করতেন বলে জানা গেছে। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার রাত ১১ টার দিকে তিনি ৪র্থ বর্ষের ছাত্র নয়ন হাওলাদারকে তার রুমে ডেকে পাঠান। কিন্তু নয়ন এতে আপত্তি জানান। এক পর্যায়ে ছাত্রলীগ নেতা আমিনুলের নেতৃত্বে রাহাত, কবির, আকন্দ, মঈন, সবুজসহ ৭/৮ জন ৪র্থ তলা থেকে খেলার ব্যাট, আলমারির ভাঙা কাঠ ও লাঠি সোটা নিয়ে ৩য় তলায় এসে নয়নকে মারার জন্য উদ্দত হয়। এতে আরিফ সাকিল, গফুর, মেহেদীসহ সাধারন ছাত্ররা বাধা দিলে তারা তাদের উপর চড়াও হন এবং ব্যাপক মারপিট করেন। এক পর্যায়ে আরিফ সাকিল মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে গুরুতর আহত হন। সাধারন শিক্ষার্থীরা এ সময় হল সুপার ডা. গাজী নাসিরউদ্দীনকে ফোন করে বিষয়টি জানান। পরে তিনি বিষয়টি সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ আহমেদকে জানান। তিনি সাথে সাথে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সেখানে উপস্থিত হয়ে পরিষিÍতি নিয়ন্ত্রন আানেন এবং গুরুতর আহত আরিফ সাকিলকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।এরপর ওই রাতেই ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন হল সুপার ডা. গাজী নাসিরউদ্দীন ও অধ্যক্ষ ডা. কাজী হাবিবুর রহমান। এদিকে, এ ঘটনায় সাধারন শিক্ষার্থীদের মাঝে চরম আতংক বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ ছাত্রীলগের সাধারন সম্পাদক আমিনুল ইসলাম জানান, তেমন কিছু হয়নি। তবে, সিনিয়র ও জুনিয়রদের মধ্যে একটু তর্কাতর্কি হয়েছিল। পরে আমাদের প্রিন্সিপাল স্যার আসার পর বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়ে যায়। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের হল সুপার ডা. গাজী নাসিরউদ্দীন জানান, মেডিকেল কলেজের ৫ম ও ৪র্থ বর্ষের ছাত্রদের মধ্যে একটু কথাকাটাকাটি হয়েছিল, সেটি রাতেই প্রিন্সিপাল সাহেবকে নিয়ে নিষ্পত্তি করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় তাকে (হল সুপারকে) প্রধান করে ১০ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে।