জোহানেসবার্গের ওয়ান্ডারার্সে পেসে পেসে ভালোই টক্কর লেগেছে। স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা এবং সফরকারী ভারত- দুই দলই নেমেছে ৫জন করে পেসার নিয়ে। সিরিজের আগের দুই টেস্টে হেরে এমনিতেই সিরিজ খুইয়ে বসে আছে ভারত। ওয়ান্ডারার্সে তাদের লজ্জা এড়ানোর মিশন। এই মিশনে সফল হতেই পাঁচ পেসার নিয়ে প্রোটিয়াদের মোকাবেলা করছে বিরাট কোহলিরা।
পাঁচ পেসার তত্বে মোটামুটি সফল ভারতীয়রা। দক্ষিণ আফ্রিকার পেসে কোহলিরা উড়ে গিয়েছিল ১৮৭ রানে। জবাব দিতে নেমে ভারতীয় পেসে নাকাল হতে হয়েছে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকাকেও। এই সিরিজেই টেস্ট অভিষেক হওয়া জসপ্রিত বুমরাহর বলে বেশি ভুগতে হয়েছে প্রোটিয়াদের। শেষ পর্যন্ত ভারতীয়দের চেয়ে খানিকটা এগিয়ে ছিল বটে, তবে সেটা খুব বেশি নয়। মাত্র ৭ রানের লিড নিতে পেরেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৯৪ রানে অলআউট হয়েছে প্রোটিয়ারা।
ভারতের করা ১৮৭ রানের জবাব দিতে নেমে প্রথমদিনই ১ উইকেট হারিয়ে বসেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। এইডেন মারক্রাম আউট হন মাত্র ২ রান করে। দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই ডিন এলগারকে তুলে নেন ভুবনেশ্বর কুমার। নাইটওয়াচম্যান হিসেবে আগেরদিন উইকেটে নামা কাগিসো রাবাদা ভালোই ব্যাটিং করেন, অন্যদের তুলনায়। তিনি আউট হন ৩০ রান করে।
পুরো প্রোটিয়া ব্যাটিংয়ে যা লড়াই করেছেন কেবল হাশিম আমলা। ৬১ রান করার পর বুমরাহর বলে আউট হয়ে যান। টেল এন্ডে খানিকটা লড়াই জমিয়ে তুলেছিলেন ভারনন ফিল্যান্ডার। ৫৫ বল মোকাবেলা করে ৩৫ রানে আউট হয়ে যান তিনি বুমরাহর বাউন্সে বাউন্ডারির মার মারতে গিয়ে। শেষ পর্যন্ত বুমরাহর ইকোনোমিক্যাল বোলিংয়ের সামনেই উড়ে গেল প্রোটিয়ারা।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ভারত একটি ভিন্ন কৌশল হাতে নেয়। পার্থিব প্যাটেলকে দিয়ে করাল ব্যাটিং ওপেন। মাত্র ১৬ রান করেই ফিল্যান্ডারের বলে আউট হয়ে গেলেন তিনি। এ রিপোর্ট লেখার সময় ভারতের রান ১ উইকেট হারিয়ে ৩১। মুরালি বিজয় ৬ এবং লোকেশ রাহুল রয়েছেন ৯ রানে অপরাজিত। ভারতের লিড দাঁড়িয়েছে ২৪ রান।