ভিন্ন স্বাদের খবর: এক ফুট চওড়া, ২.২ ফুট লম্বা, ওজন ৩৪ কেজি। শুনে কোনও মাঝারি মাপের পাথরের কথা মাথায় আসতে পারে। কিন্তু ফিলিপিন্সের এক মৎস্যজীবীর বিছানার নীচে ঠিক এই মাপেরই একটি মুক্তো রাখা ছিল। তাও দু-এক সপ্তাহ নয়, একটানা দশ বছর ধরে। কিন্তু বিছানার নীচে রাখা সাদা রংয়ের ওই বড়সড় জিনিসটি যে কতখানি মহার্ঘ, তার কোনও আন্দাজই ছিল না ওই মৎস্যজীবীর। কারণ তাঁর কাছে ওটি নিছক সৌভাগ্য বয়ে আনার একটি সামুদ্রিক পাথরের থেকে বেশি কিছু ছিল না। বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলছেন, ওই মুক্তোর আনুমানিক মূল্য অন্তত একশো মিলিয়ন ডলার। খবর-এবেলা
কিন্তু কীভাবে এই মুক্তোর কথা জানাজানি হল? সম্প্রতি ওই মৎস্যজীবীর বাড়িতে আগুন লেগেছিল। বাধ্য হয়ে হাতের কাছে যা যা জিনিস পেয়েছিলেন, সেগুলো নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান তিনি। সেই সময়েই অবশ্যই সৌভাগ্যর প্রতীক হিসেবে বাড়িতে রাখা প্রিয় পাথরটিকে সঙ্গে নিতে ভোলেননি তিনি। আন্তর্জাতিক একটি নিউজ চ্যানেলের খবর অনুযায়ী, তখনই এক সরকারি ট্যুরিজম অফিসারকে ওই সামু্দ্রিক পাথরটি দেখান তিনি। ওটা যে সাধারণ কোনও বস্তু নয়, অভিজ্ঞ ট্যুরিজম অফিসারের তা বুঝতে দেরি হয়নি। বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত করেন, ওটি আসলে একটি মুক্তো। পরে জানা যায়, এখনও পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া মুক্তোগুলির মধ্যে এটি সবথেকে বড়। দামী পাথর সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞরা এখন এই মুক্তের মূল্য নির্ধারণ করার কাজ চালাচ্ছেন।
একদিন সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে ঝড়ের মধ্যে নিজের নৌকার নোঙ্গরটি জলের মধ্যে ফেলেছিলেন ওই মৎস্যজীবী। কিন্তু নোঙ্গরটি তোলার সময়ে দেখেন, সেটি একটি সামুদ্রিক ঝিনুকে আটকে যায়। বাধ্য হয়ে জলে নেমে সাঁতরে নোঙ্গরটি তুলে আনেন মৎস্যজীবী ওই ঝিনুকটিও তুলে আনেন। তার পরে থেকেই ওই ঝিনুক এবং তার ভিতরে লুকিয়ে থাকা মুক্তোর ঠিকানা হয়েছিল ওই মৎস্যজীবীর বাড়ির বিছানার নীচে। ভাগ্যিস, মৎস্যজীবীর বাড়িতে আগুন লেগেছিল! না হলে, বিশ্বের সবথেকে বড় মুক্তোর সন্ধানই হয়তো পাওয়া যেত না। এতদিন বিশ্বের সবথেকে বড় মুক্তোর স্বীকৃতি যেটির ছিল, সেই লাও জু নামের মুক্তোটিও এই বিশালাকার মুক্তোর তুলনায় নেহাতই ছোট আকারের। ফিলিপিন্স অবশ্য বড় বড় মুক্তো খুঁজে পাওয়ার জন্য বিখ্যাত। সেদেশের পালওয়ান অঞ্চলে অতীতেও অনেক বড় বড় মুক্তো পাওয়া গিয়েছে।