খেলা

দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে লজ্জা বাঁচাল ভারত

By Daily Satkhira

January 28, 2018

কেপ টাউন এবং সেঞ্চুরিয়নে হেরে আগেই সিরিজ খুইয়ে বসেছিল ভারত। জোহানেসবার্গের ওয়ান্ডারার্সে এসেছিল তারা হোয়াইটওয়াশের লজ্জা বাঁচানোর জন্য। এই মাঠটি ভারতীয়দের জন্য বেশ পয়া ভেন্যু। আগে খেলা চারটি টেস্টের মধ্যে একটি জিতেছে, বাকি তিনটি ড্র করেছে। অথ্যাৎ একটিতেও হারেনি ভারত; বরং তারা এই মাঠে স্বাগতিকদের চেয়ে এগিয়েই ছিল।

সেই রেকর্ড এবারও ধরে রাখলো বিরাট কোহলির দল। দক্ষিণ আফ্রিকাকে তো জিততেই দিল না। উল্টো, স্বাগতিকদের ৬৩ রানে হারিয়ে হোয়াইটওয়াশ থেকে রক্ষা পেলো ভারতীয়রা।

ভারতীয় পেসের সামনেই উড় গেছে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং লাইনআপ। জয়ের জন্য চতুর্থ ইনিংসে মাত্র ২৪১ রান প্রয়োজন ছিল প্রোটিয়াদের। তৃতীয় দিন শেষ বিকেলে এইডেন মারক্রামের উইকেট পড়লেও চতুর্থদিন সকাল থেকে হাশিম আমলা আর ডিন এলগারের ব্যাটে দুর্দান্ত গতিতে জয়ের দিকেই এগিয়ে চলছিল স্বাগতিকরা।

আমলা আর এলগারের জুটিতে উঠলো ১১৯ রান। ১২৪ রানে গিয়ে দ্বিতীয় উইকেট পড়ার পরই যেন বালির বাধের মত ভেঙে পড়লো প্রোটিয়াদের সব প্রতিরোধ। ৫২ রান করে আউট হন আমলা। এরপর একপাশে এলগার দাঁড়িয়ে থাকলেও বাকিরা ছিলেন আসা-যাওয়ার মিছিলে। ডি ভিলিয়ার্স ৬, ডু প্লেসি ২, কুইন্টন ডি কক শূন্য, ভারনন ফিল্যান্ডার ১০, আন্দিল পেহলুকাইয়ো শূন্য, কাগিসো রাবাদা শূন্য এবং মরনে মর্কেল আউট হন শূন্য রানে। শেষ উইকেট হিসেবে আউট হন লুঙ্গি এনগিদি। তিনি করেন ৪ রান। অন্য প্রান্তে ডিন এলগার ৮৬ রানে অপরাজিতই থেকে যান। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তিনি শুধু পরাজয়টাই লক্ষ্য করলেন। সঙ্গীর অভাবে দলকে জয় এনে দিতে পারলেন না। দল অলআউট হয়ে গেলো ১৭৭ রানে।

ভারতীয় বোলারদের মধ্যে মোহাম্মদ সামি একাই নেন ২৮ রানে ৫ উইকেট। জসপ্রিত বুমরাহ এবং ইশান্ত শর্মা নেন ২টি করে উইকেট। ভুবনেশ্বর কুমার নেন ১ উইকেট। পুরো ম্যাচে দারুণ অলরাউন্ড নৈপুন্য প্রদর্শন করে জিতে নিলেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।

প্রথম ইনিংসে ভারত করেছিল ১৮৭ রান। জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা মাত্র ৭ রানের লিড দেয় ভারতকে। অলআউট হয় ১৯৪ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ভুবনেশ্বরের ব্যাটে চড়ে ২৪৭ রান পর্যন্ত যায় ভারতের ইনিংস। জয়ের জন্য ২৪১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৭৭ রানে অলআউট হলো দক্ষিণ আফ্রিকা।