আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরার জজশীপ ও ম্যাজিষ্টেসিতে ৫০ হাজার মামলার জট লেগে আছে। বিচারক সংকটের কারনে এসব মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করা সম্ভব হচ্ছেনা। জেলা জজশীপে ১৪ জন বিচারকের স্থলে আছেন ৯ জন এবং ম্যাজিষ্ট্রেসিতে ৯ জন বিচারকের স্থলে আছেন মাত্র ৪ জন বিচারক। ফলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাতক্ষীরার বিচারপ্রার্থী সাধারণ মানুষ। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সাতক্ষীরা জজশীপে বিচারাধীন মামলা রয়েছে ৮ হাজার ৬৪০টি। এর মধ্যে দায়রা মামলা ৩ হাজার ১৮২টি, এস, টি, সি মামলা ২ হাজার ৮৮৪টি, বিশেষ মামলা ৩৫টি, ফৌজদারী আপিল মামলা ১ হাজার ১১টি, ফৌজদারী রিভিশন মামলা ১ হাজার ২৭৪টি, ফৌজদারি বিবিধ মামলা ১৬৮টি, এসিড অপরাধ মামলা ২৫টি, জননিরাপত্তা মামলা ২টি, সন্ত্রাস মামলা ২টি এবং শিশু মামলা রয়েছে ৫৭টি। এছাড়া সিভিল মামলা রয়েছে ২৫ হাজার ৩৪টি। এর মধ্যে আপীল মামালা ১ হাজার ২৫০টি, স্বত্ব/ অন্যপ্রকার মামলা (দেওয়ানী) ৭ হাজার ৬৯৯টি, টাকার মামলা ১৬৫টি, এস,সি,সি মামলা ৮টি, পারিবারিক মামলা ৭৮৫টি, নির্বাচনী মামলা ১৭টি, মিস কেস ১ হাজার ১৪৬টি, জারী মামলা ৯২২টি, সিভিল রিভিশন মামলা ২৯৩টি, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ মামলা ৫ হাজার ৫৮টি এবং ল্যা- সার্ভে ট্রাইব্যুনাল মামলা রয়েছে ৭ হাজার ৬৯১টি। অপরদিকে, সাতক্ষীরা ম্যাজিষ্ট্রেসিতে বিচারাধীন মামলা রয়েছে ১৩ হাজার ৭৮৫টি এবং সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন মামলা রয়েছে ২ হাজার ৮৪৫টি। দীর্ঘ প্রায় ১০ মাস বিচারক শুন্যতার পর চলতি জানুয়রী মাসে এ ট্রাইব্যুনালে যোগদান করেছেন হোসনে আরা আক্তার নামে একজন বিচারক। ফলে দীর্ঘদিন পর হলেও বিচার পেতে শুরু করেছে সাতক্ষীরার নারী ও শিশু আদালতের বিচারপ্রার্থী সাধারণ মানুষ। সূত্রটি আরও জানায়, সাতক্ষীরা জজশীপে ১৪ জন বিচারকের স্থলে আছেন ৯ জন। শুন্য রয়েছে ৫টি পদ। এগুলি হচ্ছে, সদর. আশাশুনি, শ্যামনগর ও দেবহাটা সহকারী জজ এবং সহকারি জজের অতিরিক্ত আরও ১টি পদ। এছাড়া ম্যাজিষ্ট্রেসিতে ৯ জন বিচারকের স্থলে আছেন মাত্র ৪ জন বিচারক। এখানেও শুন্য রয়েছে ৫টি পদ। এগুলি হচ্ছে, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ২জন এবং জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ৩জন। ফলে একদিকে যেমন মামলা জট লেগে আছে অপর দিকে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাতক্ষীরার বিচারপ্রার্থী সাধারণ মানুষ।