নিজস্ব প্রতিবেদক: অবশেষে সদর উপজেলার ধুলিহর ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামকে দুর্নীতির দায়ে অন্যত্র বদলী করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে সদর উপজেলা ভূমি অফিস বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। জানা যায়, ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে ভূমি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম যোগদানের পর হতে ধুলিহর ও ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের শত শত সাধারণ মানুষকে হয়রানী করে দাখিলা, নামপত্তন, খাস জমি বন্দোবস্ত, একসনা লীজ, ব্রহ্মরাজপুর বাজারের পেরি-ফেরীভুক্ত অস্থায়ী চান্দিনা বন্দোবস্ত দেওয়ার নামে দুর্নীতির মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া শুরু করে। দুটি ইউনিয়নের অসংখ্য মানুষ তার দ্বারা হয়রানী ও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এসব এলাকার বহু মানুষ এখনো বিপুল পরিমান ঘুষের টাকা ফেরত পাওয়ার আশায় রয়েছে। ভূক্তভোগী এসব লোকের কাছ থেকে ভূমি অফিসের কাজ হাসিলের নাম করে ভূমি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম ঘুষ গ্রহণ করেছিল বলে জানা গেছে। ঘুষ নিয়ে কোন কাজ করে দিতে না পারায় অনেক ব্যক্তিকে ইতিমধ্যে ঘুষের টাকা ফেরতও দিয়েছে। নায়েব রফিকুলের এ সমস্ত অসংখ্য অনিয়ম, দুর্নীতি ও হয়রানীর খবর ইতিপূর্বে বিভিন্ন মিডিয়ায় একাধিকবার প্রকাশিত হয়েছে। অপর একটি সূত্র জানায়, ধুলিহর গ্রামের আবুল কাশেম মন্ডলের পুত্র মনিরুজ্জামান জয়নাল, বালুইগাছা গ্রামের মৃত অধর চন্দ্র পালের পুত্র বীরেন্দ্র নাথ পাল, উমরাপাড়া গ্রামের মৃত ওমর আলি গাজীর পুত্র মোঃ সাজ্জাত হোসেন ও একই গ্রামের মোঃ ওসমান মোড়লের পুত্র ছলেমান মোড়ল অনিয়ম, ঘুষ, দুর্নীতি ও হয়রানীর অভিযোগ এনে প্রধানমন্ত্রী, ভূমিমন্ত্রী, দুর্নীতি দমন কমিশন, বিভাগীয় কমিশনার ও সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক সহ প্রশাসনের কয়েকটি দপ্তরে গত আগষ্ট মাসে লিখিত দরখাস্ত প্রেরণ করে। সম্প্রতি কয়েকটি অভিযোগ সদর উপজেলা সহকারী কশিনার (ভূমি) মনিরা পারভীন তদন্ত করে প্রতিবেদন প্রদান করেন। এর ফলেই তাকে শাস্তিমুলকভাবে ভোমরা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে বদলী করা হয়েছে। আগামী ১৩ নভেম্বর তার জয়গায় ইউনিয়ন ভূমি কর্মকতা মোখলেস আলী যোগদান করবেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। শুধু বদলী নয় এ ধরনের দুর্নীতিবাজকে বরখাস্ত করে উচিত শিক্ষা দিতে হবে বলেও অনেকেই এ ধরনের মতামত ব্যক্ত করেন। ধুলিহর ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামের বদলীর খবরে এলাকার মানুষ স্বস্তি প্রকাশ করে প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছে।