কলারোয়া

জেল হত্যা দিবসে কলারোয়ায় আ.লীগের দু’গ্রুপের পৃথক সমাবেশ

By daily satkhira

November 03, 2016

কলারোয়া প্রতিনিধি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় না এলে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চারনেতার হত্যাকান্ডের বিচার হত না। মৃত্যু ঝুঁকি নিয়েও বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার হত্যার বিচার করেছেন। বৃহস্পতিবার কলারোয়ায় উপজেলা আ.লীগের আয়োজনে জেল হত্যা দিবসের সমাবেশে উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন এ সব কথা বলেন। তিনি আরো গত ২০০১ সালে বিএনপি জামায়াত ক্ষমতায় আসার পর নানা অজুহাতে জাতীয় চারনেতা হত্যা মামলা ঝুঁলিয়ে রেখে প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হয়েছিল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর আপীলের মাধ্যমে আমরা এ মামলার বিচারের রায় পেয়েছি। সমাবেশে তিনি বলেন, আজকে কলারোয়া উপজেলা আওয়ামীলীগকে দ্বিধা বিভক্ত করার জন্য একটি সুবিধাবাদী মহল ষড়যন্ত্র করছে। তিনি এসব গুজবে কান না দেয়ার জন্য তৃনমূলের প্রতি আহবান জানান। বিকাল সাড়ে ৩ টায় কলারোয়া উপজেলা পরিষদ চত্তরে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলার আওয়ামী লীগের আ.লীগ নেতা শেখ আমজাদ হোসেন, আরাফাত হোসেন, কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান বুলবুল, ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম. রবিউল হাসান, মাষ্টার নুরুল ইসলাম, আব্দুল হামিদ, ইউনিয়ন আ.লীগ নেতা সুপ্রশাদ, মশিয়ার, মোসলেম আলী, কাউন্সিলর মফিজুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর হোসেনসহ  উপজেলার সকল ইউনিয়নের আ.লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন নেতা-কর্মিরা। এ ছাড়া একইদিন বিকাল ৪ টায় কলারোয়া পাইলট হাইস্কুল চত্তরে জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টুর নেতৃত্বে উপজেলা আ.লীগের একটি অংশ, উপজেলা যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিকলীগসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতা-কর্মিরা র‌্যালি ও আলোচনা সভা করে। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম লাল্টু বলেন, জাতীয় চার নেতাকে খন্দকার মোস্তাক নিজের দলে নেওয়ার জন্য অনেক প্রলোভন দেখিয়েছিল। কিন্তু তারা যেমন সে প্রলোভনে নিজেদের বিক্রি করেন নি তেমনি মৃত্যুকেও ভয় করেননি। তিনি নিজ দলীয় নেতা, কর্মিদের এই মহান নেতাদের আদর্শ ধারণ করে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার পাশে থাকার আহবান জানান। এ সময় তিনি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায় থেকে আসা নেতা কর্মীদের জাতীয় চারনেতার আদর্শ থেকে শিক্ষা নেওয়ার আহবান জানিয়ে তারা আরো বলেন, দলের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। ‘মৃত্যুকে অবধারিত জেনেও বিন্দুমাত্র বিচলিত  না হয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলতে হবে। সমাবেশে কলারোয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি কাজী আসাদুজ্জামান শাহজাদা বলেন, দলীয় লেবাস ধরে আজ কলারোয়ায় নব্য এরশাদ শিকদারের জন্ম হয়েছে। তিনি আমাকে বিভিন্ন ভাবে হত্যার চেষ্টা করছে বলে তিনি সমাবেশে দাবি করেন। এ সময় তিনি সুবিধাবাদী ও দলীয় লেবাসধারী নেতার দল থেকে বহিস্কারের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্ঠি আকর্ষন করেন। সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক স.ম মোরশেদ আলী, নেতা ভুট্টো লাল গাইন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এমএ কালাম, মারুফ হোসেন মিঠু, পৌর আ.লীগের সভাপতি আজিজুর রহমান, শ্রমীক লীগের সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম মিঠু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম, যুবলীগ নেতা, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্ত, শফিউল আজম শফি, আশরাফুল ইসলাম মাগফুর, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান ইমরান হোসেন, সাধারণ সম্পাদক রাসেলসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের আ.লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ দলীয় নেতা, কর্মি ও সমর্থকরা। সমাবেশ শেষে কলারোয়া পৌর সদরে একটি বিশাল মিছিল গুরুত্ব পূর্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে। প্রসঙ্গত; ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী, এ এইচ এম কামরুজ্জামানকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকারে সৈয়দ নজরুল ইসলাম ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি, তাজউদ্দীন আহমদ প্রধানমন্ত্রী, এম মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামরুজ্জামান মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। এই নেতারা মুক্তিযুদ্ধকে সফল পরিণতির দিকে নিয়ে যান। স্বাধীনতার চার বছরের মধ্যে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাত্রিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। খুনিচক্র জাতীয় চার নেতাকে কারাগারে বন্দি করে। এরপর গুলি ও বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে