নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আউটসোর্সিং টেন্ডার নিয়ে বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে ৪র্থ শ্রেণির জনবল সরবরাহের টেন্ডারে হাসপাতালটির কর্মকর্তা-হিসাবরক্ষকসহ কয়েকজন মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে প্রথম সর্বনিম্ন দরদাতাকে কাজটিকে না দিয়ে চতুর্থ সর্বনিম্ন দরদাতা বরিশাল জেলা বিএনপির সদস্য’র পিমা এ্যাসোসিয়েট লিমিটেডকে দেয়ার জন্য জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন বলে জানা গেছে। মাছরাঙ্গা সিকিউরিটি সার্ভিস ও বিএসএস সিকিউিরিটি সার্ভিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিনুল ইসলাম জানান, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে জনবল সরবরাহের জন্য গত ২৮ জানুয়ারি টেন্ডার আহবান করা হয়। উক্ত টেন্ডারে আমার প্রতিষ্ঠানসহ ৮টি প্রতিষ্ঠান সেখানে সিডিউল জমা দেন। যথাযথ নিয়ম অনুযায়ী সেখানে সিডিউল জমা দিয়ে সলিউশন ফোর্স লিঃ এন্ড একুশে সিকিউরিটি সার্ভিসেস (প্রাঃ) লিঃ প্রথম সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে নির্বাচিত হন। তারপরও তাকে কাজটি না দিয়ে টালবাহানা করা হচ্ছে। শুধু তাই নয় আমি পরবর্তী দ্বিতীয় দরদাতা হয়েও আমাকে কাজটি না দিয়ে হাসপাতালটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও হিসাবরক্ষক মোত্তাজুলসহ টেন্ডার কমিটির কয়েকজন মোটা অংকে টাকার বিনিময়ে চতুর্থ সর্বনিম্ন দরদাতা বরিশাল জেলা বিএনপির সদস্য পিমা এ্যাসোসিয়েট লিমিেিটডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেলোয়ার হোসেন দুলালকে দেয়ার জন্য জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। তবে, প্রচার রয়েছে তৃতীয় সবৃনিম্ন দরদাতা নাশকতা মামলাসহ বিভিন্ন মামলায় কারাবরণকারী জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম দলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি গালফ সিকিউরিটি সার্ভিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবিএস খান স্বপনও টাকার বিনিময়ে কাজ পাওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দরদাতা জানান, টেন্ডারের সিডিউলটির শর্তসমূহ পিমা এ্যাসোসিয়েট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দুলালই তৈরি করে কর্তৃপক্ষকে দেন। কর্তৃপক্ষ ওই সিডিউল দিয়েই টেন্ডার আহবান করেন। ইতিপূর্বে সাতক্ষীরা মেডিকেলে পিমা এ্যাসোসিয়েট লিঃ এর নিয়োগপ্রাপ্ত অফিস সহায়ক নাইম হাসান জানান, মাত্র ৬ মাসের টেন্ডারে হাইকোর্টে রিট করে গত ৫ বছর যাবত পিমা এ্যাসোসিয়েট লিঃ সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে ৪৬ জন জনবলের কাজ করে আসছে। তারা কর্মচারীদের মাসিক বেতন ১৪,৪৫০ টাকা উত্তোলন করে আমাদের দেন মাত্র ৮/৯ হাজার টাকা। এমনকি আমাদের বেতন শিটে জোর করে স্বাক্ষর করে নিয়ে বেতন ঠিকমত দেননা। স্বাক্ষর না দিলে চাকুরীচ্যুত করার হুমকিও দেন তারা। তাদের অনিয়ম অত্যাচারে কর্মচারী ও মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ অতিষ্ঠ। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ শেখ শাহজান জানান, টেন্ডারটি মূল্যয়নের জন্য সিপিটিইউ এর কাছে সকল দরপত্রের বিষয়ে মতামত চেয়ে পাঠানো হয়েছে। তবে, এ ব্যাপারে সলিউশন ফোর্স লিঃ এন্ড একুশে সিকিউরিটি সার্ভিসেস (প্রাঃ) লিঃ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সোহাগ জানান, ১০ বছরের আউটসোর্সিং ব্যবসার জগতে কোন দরপত্র মূল্যয়নের সিপিিিটইউ এর মতামত চাওয়া এই প্রথম দেখলাম। তিনি আরো বলেন, টেন্ডার মূল্যয়ন পরবর্তী কোন অনিয়ম হলে তখন সিপিটিইউ এর আশ্রয় নেয়া হয়। এটা প্রহসন ছাড়া আর কিছুই নয় বলে তিনি দাবি করেন।