নিজস্ব প্রতিবেদক : শুধু একটি পত্রিকা নয়, প্রথমআলো একটি আন্দোলনের নাম। এই আন্দোলন মাদকের বিরুদ্ধে, এই আন্দোলন এসিড সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে, এই আন্দোলন সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশের মধ্যদিয়ে প্রথমআলো ৫৫ লক্ষ পাঠকের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। শনিবার সকাল দশটায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে দেশের শীর্ষ স্থানীয় দৈনিক প্রথম আলোর ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেছেন। সাংবাদিকতা ও সংবাদপত্র জগতে প্রথম আলো সকলের অনুসরণীয় উল্লেখ করে বক্তারা আরও বলেন, বাংলাদেশের প ্রতিটি মানুষের জীবনে ১৮ নেমে আসুক। আঠারো হলো প্রতিটি ক্ষেত্রে তারুণ্য ও উদ্দীপনার জম্ম দেয়। ‘প্রথম আলো’ পাঠকদের হৃদয়ে বস্তু নিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে একটি বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে। বস্তুনিষ্ঠতার কারণেই প্রথমআলো সকলের কাছে প্রিয়। যেকোন সংবাদ যাচাইয়ে প্রথম আলো না দেখলে আশ্বস্ত হওয়া যায় না। শুধু তাই নয়, দেশের সাহিত্য-সংস্কৃতি ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশে প্রথমআলো অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের বিরদ্ধেও প্রথম আলোর অবস্থান অত্যন্ত দৃঢ়। অনুষ্ঠানে সাতক্ষীরা প্রথম আলো বন্ধুসভার উপদেষ্টা ও সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন, সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ লিয়াকত পারভেজ, সাতক্ষীরা পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি, সাতক্ষীরা জেলা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সভাপতি ডা. আবুল কালাম বাবলা, পৌর কাউন্সিলর ফারহা দীবা খান সাথী, সাতক্ষীরা ঘাতক দালার নিমূল কমিটি সভাপতি হাফিজুর রহমান, দৈনিক দক্ষিণের মশালের সম্পাদক আশেক-ই-এলাহি, বেসরকারি সংস্থা স্বদেশের পরিচালক মাধব দত্ত, সাংবাদিক ইয়ারব হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জি ও সাতক্ষীরা প্রথম আলো বন্ধুসভার সভাপতি রাশিদুল ইসলাম। অনুষ্ঠানের গান পরিবেশন করেন, ইন্দ্রজিৎ সাধু, জেসমিন নাহার ও অতীশ দাশ। প্রতিকুল আবহাওয়া ও বৃষ্টি উপেক্ষা করে প্রথম আলোর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে সুশলী সমাজ, সাংবাদিক, শিক্ষক, অ্যাডভোকেট, জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, ছাত্র-ছাত্রী, পাঠক ও শুভনাধ্যায়ীদের সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে উপস্থিতি ছিল লক্ষ্য করার মতো। পরে সকালের উপস্থিতিতে অতিথিবৃন্দ ১৮তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর কেক কাটেন। উল্লেখ্য, সকাল ১০টা ১৮ মিনিটে অনুষ্ঠান শুরু করা হয়। ১১টা ১৮মিনিটে ১৮ পাউন্ড কেক কাটা হয়।