সাতক্ষীরা

চাচার জমি দখল করতে মরিয়া হয়ে ভাইপো !

By daily satkhira

February 12, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক : আইন আদালতের তোয়াক্কা না করে চাচার জমি অবৈধভাবে দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে চোরাকারবারি ভাইপো। এ নিয়ে একাধিকবার শালিসী বৈঠকে মিমাংসা হলেও পরবর্তীতে আবারো জবর দখল শুরু করে ভাইপো। সে সদরের আলীপুর গ্রামের মৃত সামছুর রহমানের পুত্র চোরাকারবারি সাঈদুজ্জামান (বাবলু)। অবৈধ টাকার প্রভাবে আইন, আদালত, জনপ্রতিনিধি কারো কোন তোয়াক্কাই করেন না ভাইপো সাঈদুজ্জামান। এমনই অভিযোগ সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলিপুর গ্রামের শরিয়াতুল্লা মোড়লের ছেলে ইমান আলীর। কাগজ পত্রানুযায়ী ভিটাবাড়ির জমি সকল ভাই বোনের মধ্যে ক্রয় বিক্রয় হওয়ার পর পথ, পুকুর, কবরস্থান বাদে চার ভাই যথাক্রমে প্রাপ্য বড় ভাই এনছাপ ০১.৭২(দখল নাই), মৃত ছামছুরের পুত্র সাইদুজ্জামান ১৪.৭৯ (দখল৩৪.২৫)শতক, ইমান ৩৩.৪৩ (দখল ২৪) শতক ও জিয়াদ আলী ১৯.২১ (দখল ১০.৯০) শতক করে প্রাপ্য। কিন্তু দেখা যায় ভিটাবাড়িতে সাইদুজ্জামান প্রাপ্য ১৪.৭৯ শতক ছাড়াও ১৯.৪৬ শতক ও বিলান ১৪.১২ শতক জমি দীর্ঘদিন জোর পূর্বক অবৈধ দখল করে রেখেছে। সেই সম্পত্তি ফেরত চাওয়ায় চাচা ইমান আলীর সাথে বিরোধে সূত্রপাত ঘটে। ইতোপূর্বে সাঈদুজ্জামানের চোরাকারবারী কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করায় ইমান আলীর ছেলে মোঃ হাবিবুল্লাহ বাহার কে ০১নং আসামী করে আরো তিন জনের নামে সাতক্ষীরা আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। উক্ত মামলায় হাবিবুল্লাহকে তার চাকুরি হারাতে হয়। চাকুরি হারিয়ে হাবিবুল্লাহ বর্তমানে মানবেতর জীবন – যাপন করছে। এরপর গত ২১জানুয়ারি১৮ তারিখের সদর থানার এস আই হাসানুর রহমান উক্ত মামলার তদন্ত করেন। তদন্তে উক্ত মামলা মিথ্যা প্রমানিত মর্মে প্রতিবেদনও দেন সদর থানার এস আই হাসানুর রহমান। এটা নিয়ে পত্র-পত্রিকায় একাধিক সংবাদও প্রকাশিত হয়। এদিকে এ বিষয়ে মিমাংসা করার জন্য কিছু শর্ত স্বাপেক্ষে গত ২৫ নভেম্বর’১৭ তারিখে একটি শালিসী বৈঠক আহ্বান করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিবৃন্দ। সেখানে আলীপুর ইউপি সদস্য আতাউর রহমান, ও সাঈদুজ্জামানের অভিভাবকের দায়িত্ব পালনকারী আকবর আলী সরদার, তার আপন বড় চাচা এনছাপ, স্থানীয় সাংবাদিকসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু তারপরও সে শালিস না মানায় আলীপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান, সাঈদুজ্জামানের আপোন বড় চাচা এনছাপ আলী, ১,২, ও ৩ নং ওয়ার্ডের মহিলা ইউপি সদস্য তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ব্যবস্থা পত্রে সুপারিশ করেন। এছাড়া এলাকাবাসীর মধ্যে ১২৫ জন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সাঈদুজ্জামানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গণস্বাক্ষর করেন। ভুক্তভোগী অসহায় চাচা ইমান আলী জানান, সে ২০১৩ সাল হতে ৪ বছরের অধিক সময় ধরে নানান ভাবে অত্যচার করে যাচ্ছে। ২৫মার্চ১৭ইং তারিখে অবৈধ ভাবে জায়গা দখল করে প্রাচির নির্মানের ভিডিও তথ্য রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে লাঞ্চিত ও হুমকি প্রদর্শন করায় তার বিরুদ্ধে ০৭অক্টোবর১৭ইং তারিখে অভিযোগ দায়ের সহ একের অধিকবার সাধারণ ডায়েরি নং-১৯১৩ ও ৩৮৬ রয়েছে যা তদন্তে সঠিক পেয়েছে। তারপর ও সে মিথ্যা অভিযোগে ১৬ অক্টোবর’১৭ইং তারিখে ০৯ টি ধারা দিয়ে মামলা নং-৩০৪/১৭ইং সাতঃ দায়ের করে, তার বিরুদ্ধে ২২-২৩ অক্টোবর’১৭ইং তারিখে ১৮৫ জনের গণস্বাক্ষর করে। ২৫নভেম্বর’১৭ইং তারিখের শালিসে ৫৩ জনের এবং ১০মার্চ’১৭ইং তারিখে শালিস অমান্য করায় তার বিরুদ্ধে ৮৯ জনের গণস¦াক্ষর রয়েছে। উক্ত সাঈদুজ্জামান চোরাকারবারি ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার কারণে কালো টাকার প্রভাবে বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করে চলে। যে কারণে তার কাছে অসহায় হয়ে পড়েছেন চাচা ঈমান আলীসহ অন্যান্য ভাই ও তাদের পরিবার। অবিলম্বে উক্ত ভাইপো নামের কলঙ্ক সাঈদুজ্জামানের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এবিষয়ে ভাইপো সাঈদুজ্জামান বাবলুর ব্যবহৃত ০১৯৮১৬৯১৫৬৩ নাম্বারে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি রিসিভ না করায় তা সম্ভব হয়নি।

১২.০২.২০১৮