দেবহাটা

দেবহাটার ছকিনা ব্রিকস সংক্রান্ত উচ্চ আদালতে দায়ের করা রিটের নিষেধাজ্ঞার আদেশ স্থগিত

By daily satkhira

February 13, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া এলাকায় ছকিনা ব্রিকস এর মালিক মোশারফ হোসেন মুসা কর্তৃক উচ্চ আদালতে পরিবেশ অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে দায়ের করা নিষেধাজ্ঞার আদেশ স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। আপিল বিভাগের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকি গত ৫ ফেব্রুয়ারী এক আদেশে আগামী ১২ এপ্রিল রিটের পরবর্তী শুনানির দিন পর্যন্ত এই স্থগিদ আদেশ দেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পরিবেশ অধিদপ্তরের নীতিমালা লংঘন করে ও প্রশাসনের পূর্বানুমতি ছাড়াই সাতক্ষীরার দেবহাটার দক্ষিন কুলিয়া গ্রামে বসতবাড়ি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সন্নিকটে চার ফসলি জমিতে ছকিনা ব্রিকস নামের একটি ইট ভাটা নির্মাণ কাজ শুরু করেন আশাশুনি উপজেলার মধ্যম একসরা গ্রামের দ্বীন আলী গাজির ছেলে শহরের ইটাগাছা কামার পাড়া (বউ বাজার) এলাকার মোশারফ হোসেন মুসা। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন মুসার ইট ভাটার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীর পক্ষে দক্ষিন কুলিয়া গ্রামের মৃত হেবাজউদ্দিন গাজীর ছেলে মোঃ আজহারুল ইসলাম খুলনা পরিবেশ অধিদপ্তরে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে ভাটা মালিক মোশারফ হোসেন মুসাকে গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর খুলনা পরিবেশ অধিদপ্তরে হাজির হওয়ার জন্য নোটিশ প্রদান করা হয়। কিন্তু তিনি হাজির না হয়ে ভাটার কাজ চালিয়ে যেতে থাকলে ২০ সেপ্টেম্বর পুনরায় ভাটার যাবতীয় কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশসহ তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষন আইন ১৯৯৫ এবং ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন আইন, ২০১৩ অনুসারে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না মর্মে আবারও নোটিশ জারি করা হয়। এদিকে ছকিনা ব্রিকস নামের ইট ভাটা নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার জন্য গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর হাই কোর্টের আইনজীবী আমিনুল ইসলাম ভাটা মালিক মুসাকে উকিল নোটিশ প্রদান করেন। এসময় মুসা উচ্চ আদালতে ১৬৪২৬ নং একটি রিট পিটিশন দায়ের করলে ২০১৭ সালের ১৬ নভেম্বর উচ্চ আদালত ভাটার কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি না করতে পরিবেশ অধিদপ্তর ও স্থানীয় জেলা প্রশসাকের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। বিষয়টি জানার পর জনস্বার্থে শফিকুল ইসলাম চলতি বছরের জানুয়ারী মাসে উচ্চ আদালতে ৩৯১/১৮ নং সিভিল পিটিশন দায়ের করলে আদালত পরিবেশ অধিদপ্তরকে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার আদেশ দেন। পরবর্তীতে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি অবগত হয়ে উচ্চ আদালতের আপিল বিভাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ চ্যালেঞ্জ করা হয়। শুনানী শেষে আপিল বিভাগের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকি গত ৫ ফেব্রুয়ারী এক আদেশে আগামী ১২ এপ্রিল পরবর্তী শুনানির দিন পর্যন্ত ১৬৪২৬/১৭ নং রিট পিটিশনের আদেশের উপর স্থগিদ আদেশ দেন। এই আদেশের ফলে পরিবেশ অধিদপ্তর এখন মুসার ভাটার বিরুদ্ধে যে কোন ধরনের আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারবে।