নিজস্ব প্রতিবেদক: একটি নয়, দুটি পুত্র সন্তান। আর বেশি দিন নয়, মাত্র কয়েক বছর গেলেই আমার পরিশ্রম লাঘব হবে। দুই পুত্র উপার্জন করবে। তখন আর আমাকে হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করতে হবে না। এ আশা নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করে আসছিলেন দেবহাটার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের জেন্নাতুল ইসলাম। কিন্তু হায় নিয়তির কি নির্মম পরিহাস জেন্নাতুলেল সে স্বপ্ন ভেঙে চৌচির হয়ে যায় অল্প দিনের মধ্যেই। ভেঙ্গে গেলে ৬০বছরের বৃদ্ধা দিন মজুর জেন্নাতুল ইসলামের।
আশা ছিল বড় পুত্র ফয়সাল মাহমুদ (২১) এবং ছোট পুত্র গোলাম মোস্তাফ (১৭) বড় হচ্ছে, তারাই ধরবে সংসারের হাল। স্ত্রী, এক কন্যা এবং দুই পুত্র নিয়ে গড়বে সোনার সংসার। কিন্তুহঠাৎ মানষিক ভারসাম্য হারিয়ে উম্মাদ হওয়ায় বোঝা হয়ে মরার উপর খাড়ার ঘা হলো দুই পুত্র। সাতক্ষীরা ও খুলনায় চিকিৎসা করেও তেমন কোনো লাভ হয়নি। তার নিজ ও প্রতিবেশিদের বাড়ি-ঘরের বিভিন্ন জিনিসপত্র ভাংচুর করায় লোহার শিকল দিয়ে বেধে রাখতে হয় তাদের। চিকিৎসকেরা বলেছেন, ভারতে নিয়ে উন্নত চিকিৎসা করাতে পারলে তার দুইপুত্র আবার স্বাভাবিক হতে পারে। কিন্তু এই চিকিৎসার জন্য কয়েক লাক্ষ টাকা প্রয়োজন। অথচ পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী জেন্নাতুল ইসলামের ৫জন সদস্যের সংসার বর্তমানে কালিগঞ্জের একটি মাছের ঘরে ফাইফরমাশ খেটে অনাহারে-আধাহারে দিন পার হচ্ছে। সংসারের ব্যয়ভার বহন ও চিকিৎসার খরচ যোগাড় করতে না পারায় সমাজের স্বহৃদয়বান ব্যক্তিদের নিকট সাহায্যের আবেদন করেছেন। জেন্নাতুল ইসলাম সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে বাসিন্দা। জেন্নাতুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ এবং বিকাশ নম্বরঃ ০১৯৪৬৪১৯৯০৯।