ক্যামেরায় ছবি তোলা, পায়ের ছাপ ও গতিবিধি দেখে সুন্দরবনে রয়েল বেঙ্গল টাইগার গণনার কাজ শুরু হয়েছে। বুধবার সকাল থেকে বনের হিরণ পয়েন্টের নীলকমল বনফাঁড়ি থেকে এই কার্যক্রম শুরু হয়। খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসেন চৌধুরী জানান, প্রথম দিনে বনের বিভিন্ন পয়েন্টে ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। বন বিভাগ ও ওয়াইল্ড টিমের মোট ৬০ জন কর্মী ক্যামেরায় ছবি তোলা ও খালে বাঘের পায়ের ছাপ গণনার কাজ করবেন। ৪৭৮টি ক্যামেরার সাহায্যে বাঘ গণনা করা হবে। সুন্দরবনের মধ্যে ২৩৯টি পয়েন্টে এসব ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। জানা যায়, সর্বশেষ ২০১৫ সালে ক্যামেরা পদ্ধতিতে সুন্দরবনের বাঘ জরিপ করা হয়। সেসময় বাঘের সংখ্যা ছিল ১০৬টি। এর আগের জরিপে বাঘের সংখ্যা বলা হয়েছিল ৪০০ থেকে ৪৫০টি।
বন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সুন্দরবনকে খুলনা ও বাগেরহাট দুই ব্লকে ভাগ করে বাঘ গণনা করা হচ্ছে। ২০১৭ সালে সাতক্ষীরা ব্লকে একই পদ্ধতিতে বাঘ গণনা করা হয়। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে জরিপের প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।
খুলনায় সুন্দরবন দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, বাঘ গণনায় সর্বাধুনিক পদ্ধতি ক্যামেরা ট্রাপিং বা ক্যামেরা ফাঁদের মাধ্যমে সুন্দরবনের বাঘের সংখ্যা নির্ণয়ের কাজ শুরু হয়েছে। এদিকে কোন বাঘের ছবি বা পায়ের ছাপ একাধিকবার নেওয়া হলেও স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে প্রকৃত বাঘের সংখ্যা নিরূপন করা যাবে।