এম. বেলাল হোসাইন: সাতক্ষীরায় নিখোঁজের ৩০ ঘণ্টা পর শিশু জাহিদ হাসানের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ধুলিহর ইউনিয়নের বেতনা নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে পাশের গ্রাম মাটিয়াডাঙ্গায় ফুটবল খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় ১৩ বছরের শিশু জাহিদ হাসান। তারপর থেকে সাতক্ষীরা সদরের নেহালপুর স্লুইস গেট এলাকা থেকে শুরু করে আশাশুনি সোদকোনা পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার নদীতে নিখোঁজ জাহিদ হাসানের লাশ খোজা হয়। এছাড়া তার আতœীয় স্বজনের বাড়িতেও খোঁজ খবর নেয়া হয়। নিহত জাহিদ হাসান সদর উপজেলার ধুলিহর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের আব্দুর রহমান ঢালী ও তাসলিমা খাতুনের একমাত্র পুত্র। তাসলিমা খাতুন জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে প্রতিবেশি খলিলুর রহমানের ছেলে মিলন(১৩) আব্দুস সালামের ছেলে আদিল(১৩), আব্দুর রহিমের ছেলে সুজন(১২)সহ কয়েকজন এসে ফুটবল খেলার কথা বলে জাহিদ হাসান কে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর থেকে নিখোঁজ হয় জাহিদ হাসান। সকাল গড়িয়ে দুপুর, দুপুর গড়িয়ে বিকেল, বিকেল থেকে রাত শেষে আবার সকাল হলেও জাহিদ হাসান বাড়ি না ফেরায় তাকে খোজাখুজি করা হয়। খেলার পর মিলন এসে জাহিদের বলটি বাড়িতে দিয়ে যায়। কিন্তু জাহিদের কোন খবর সে বলতে পারেনি। এরপর শুক্রবার গ্রামবাসি বেতনা নদীর নেহালপুর স্লুইস গেট সংলগ্ন এলাকা থেকে জাহিদের লাশ উদ্ধার করে। ইতোমধ্যে পুলিশও খবর পেয়ে বিভিন্ন স্থানে খোঁজ খবর নেয়। সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ফিরোজ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সম্ভবত: খেলা করতে গিয়ে নদীতে লাফালাফি করছিল শিশুরা। এতে জাহিদ হাসান পানি থেকে উঠতে না পেরে মারা যায়। এঘটনায় শুক্রবার সকালে জিডি করা হয়। জিডি মূলে পুলিশ খোঁজ খবর নিতে থাকা অবস্থায় শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশ ময়না তদন্ত করা হবে।