অনলাইন ডেস্ক: এমপিওভুক্তিতে দুর্নীতিতে জড়িত থাকা পাঁচ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের এক আদেশে বদলির তথ্য জানা যায়। ২০১৫ খ্রিস্টাব্দে এমপিও বিকেন্দ্রীকরণের পর দুর্নীতি ও হয়রানির মাত্রা ও স্তর বেড়ে যায়। আগে যেখানে দুই জায়গায় ঘুষ দিলেই এমপিওভুক্ত হওয়া যেত সেখানে বিকেন্দ্রীকরণের পর চার/পাঁচ স্তরে ঘুষ দিতে বাধ্য হন শিক্ষক-কর্মচারিরা। এমপিও দুর্নীতি অভিযোগের অধিকতরো তদন্ত ও অনুসন্ধান করে একটি জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সংস্থাটির ৪৭ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে ঘুষ-দুনীতির বিশদ বিবরণ রয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণা্লয় থেকে ওই প্রতিবেদনটি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠানো হয় প্রায় দশ দিন আগে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির সুপারিশ করে দেয়া প্রতিবেদনটির আলোকে বৃহস্পতিবার মাত্র ৫ জন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়। প্রতিবেদনটির শিরোনাম “বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারিদের এমপিও কার্যক্রম বিকেন্দ্রীকরণে দুর্নীতি প্রসঙ্গে বিশেষ প্রতিবেদন”।
গোয়েন্দা প্রতিবেদনে সাতক্ষীরা জেলা শিক্ষা অফিসার এস.এম ছায়েদুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়, নতুন শিক্ষককে এমপিওতে প্রথমেই সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটিকে ডোনেশনের নামে মোটা অংকের টাকা প্রদান করতে হয়। পরবর্তীতে এমপিওভুক্তির জন্য একজন শিক্ষক (অনলাইন পদ্ধতি চালু হবার পর) প্রথমে উপজেলা শিক্ষা অফিসে তার প্রয়োজনীয় কাগজ পত্রাদিসহ আবেদন করেন। উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা তার কাগজ পত্র্রাদি সঠিক কিনা যাচাই বাছায়ের নামে শিক্ষকদের হয়রানি করেন এবং ক্ষেত্র বিশেষ এমপিও প্রক্রিয়া অনলাইন ও বিকেন্দ্রীকরণ করায় পূর্বের তুলনায় হয়রানি করেন। শিক্ষকদের উৎকোচ প্রদানে বাধ্য করেন।