মাহফিজুল ইসলাম আককাজ: ভূমিহীন ও অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বাসস্থান নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরোচিত অবদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার বাসস্থান বীর নিবাসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে সদর উপজেলার ভোমরা ইউনিয়নের হাড়দ্দহা ও বৈচনা গ্রামে প্রধান অতিথি হিসেবে নব-নির্মিত বাসস্থানের ফলক উন্মোচন করে উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা -০২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এসময় তিনি বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধারা হচ্ছেন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাদের ত্যাগের বিনিময়ে আমাদের প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। তাই মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের পরিবারের কল্যাণে রাষ্ট্র সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুগান্তকারী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বাসস্থানের ব্যবস্থা এবং তাদের সম্মানী ভাতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আমরা ছিলাম সবচেয়ে অবহেলিত। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে মুক্তিযোদ্ধাদের মূল্যায়ন করেছেন। তিনি পর্যায়ক্রমে সকল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বাসস্থানসহ সবকিছুর ব্যবস্থা করছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের একমাত্র অভিভাবক। তার কাছে আমাদের কিছু চাওয়া লাগে না। তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কল্যাণকর কাজ করে যাচ্ছেন। অস¦চ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য পাকা বাসস্থান করে দিচ্ছেন। এছাড়া তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের ফ্লাটবাড়ি করে দেওয়ার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। বিশ্বের বুকে তার সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।’ সদর উপজেলার ভোমরা ইউনিয়নের হাড়দ্দহা ও বৈচনা গ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নূর আলী গাজী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মুছা আমিন এর নব-নির্মিত ঘর দুটির উদ্বোধন করা হয়েছে। এলজিইডি’র বাস্তবায়নে ৭ লক্ষ ৩৫ হাজার ৫শ’২০ টাকা ব্যয়ে ‘বীর নিবাস’ নামে একতলা এসব বাড়িতে রয়েছে দুটি বেডরুম, একটি রান্নাঘর, একটি বাথরুম ও বারান্দা। সেই সঙ্গে গৃহপালিত পশুর জন্য আছে আলাদা একটি ঘর। সাতক্ষীরা সদরের ভোমরা ইউনিয়নের হাড়দ্দহা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নূর আলী গাজী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মুছা আমিন বলেন, বসবাসের ভালো ঘর ছিল না। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদেরকে পাকা দালানের বাসস্থান উপহার দিয়েছেন। গরুর গোয়াল করে দিয়েছেন। সম্মানী ভাতা দিচ্ছেন। এছাড়া সব ধরনের সহায়তা দিয়ে আমাদের দুঃখকষ্ট লাঘব করেছেন। আমরা বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে কৃতজ্ঞ। আমরা তার সুস্বাস্থ্য, সাফল্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি। তিনি যাতে আবার ক্ষমতায় আসতে পারেন, সেজন্য আল্লাহর দরবারে চোখের জলে দোয়া মোনাজাত করি। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা মো. হাসানুল ইসলাম, জেলা পরিষদের সদস্য আল-ফেরদৌস আলফা, জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি মকসুমুল হাকিম, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের অর্থ সম্পাদক কামরুল ইসলাম, ভোমরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি গাজী আব্দুল গফুর, সাধারণ সম্পাদক আনারুল ইসলাম প্রমুখ। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা জুলমত আলী গাজী, আব্দুস সোবহান, আব্দুল গফ্ফার, সোয়েদ আলী, জোবেদ আলী, আবুল হোসেন, আব্দুল গফুর ও বাংলাদেশ স্থলবন্দর শ্রমিক ফেডারেশন ভোমরা স্থলবন্দর শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আজিবুর রহমান আলিম।