২০১৪ সালে লোকসভা ভোটে জয়ের পর একের পর এক ভারতের প্রায় সমস্ত রাজ্যে বিজেপি শাসন ক্ষমতা দখল করেছে। কয়েকটি রাজ্য বাদ দিলে সারা দেশে বিজেপি তথা এনডিএ জোটের রাজ কায়েম হয়েছে।
ফের আবার যখন লোকসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই নানা সংস্থার ভোট সমীক্ষা সামনে আসছে। এবং বিজেপি নানা রাজ্য জয় করলেও সামগ্রিকভাবে মোদী হাওয়া কম বেগে বইছে বলেই বিভিন্ন রিপোর্টে উঠে এসেছে।
লোকনীতি সমীক্ষা লোকনীতি সেন্টার ফর স্টাডি অব ডেভেলপিং সোসাইটিস (সিএসডিএস) এর সমীক্ষায় যা উঠে এসেছে তাতে বিজেপি সরকারের চিন্তিত হওয়ার কারণ রয়েছে। সামনের বছরে লোকসভা ভোট। তার আগে সমীক্ষা বলছে, বিজেপি সরকার ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে তাদের জনপ্রিয়তা কমতে শুরু করেছে।
ভারতজুড়ে সমীক্ষা সারা ভারতজুড়ে ১৪ হাজার ৩৩৬জনের উপরে সমীক্ষা করা হয়েছে। ১৯টি রাজ্যের মোট ১৭৫টি লোকসভা আসনে সমীক্ষা হয়েছে। সেখানে বিজেপি মোট ভোটের মাত্র ৩৪ শতাংশ পেয়েছে।
বিজেপির চিন্তা যে পার্সেন্টেজ পয়েন্ট বিজেপি পেয়েছে তা ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটের চেয়ে তিন বেশি হলেও ২০১৭ সালের মে মাসের পর থেকে ধরলে পাঁচ শতাংশ কম। যার অর্থ, গত কয়েকমাসে বিজেপির জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়ছে। যা আগামী লোকসভা ভোটের আগে আরও কমলে বিজেপির দুশ্চিতা আরও বাড়বে।
তাও এগিয়ে বিজেপি এখুনি নির্বাচন হলে কংগ্রেসের অবশ্য আশাবাদী হওয়ার কিছু নেই। বিজেপির চেয়ে রাহুল গান্ধীর দল অনেকটাই পিছিয়ে। কংগ্রেস পেতে পারে ২৫ শতাংশ ভোট। মধ্য ও দক্ষিণ ভারতে বিজেপির ভোট পার্সেন্টেজ পয়েন্ট ৮ শতাংশ হারে কমেছে।
গ্রামে কংগ্রেস ও শহরে বিজেপি এগিয়ে সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, দেশের বিভিন্ন গ্রাম ও শহরতলি এলাকায় কংগ্রেসের সমর্থন আগের চেয়ে বেড়েছে। আর শহর এলাকায় বিজেপির সমর্থন উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। গ্রামে কৃষক ও শহরতলি এলাকায় ছোট ব্যবসায়ীরা বিজেপির উপরে রুষ্ট হয়েছে। যা কংগ্রেসের সন্তুষ্টি ও বিজেপির পক্ষে ভয়ের কারণ হতে পারে আগামী লোকসভা ভোটে।
কমবয়সীদের ভোট ভরসা বিজেপির বিজেপির ভোটব্যাঙ্কের সবচেয়ে বড় অংশ কমবয়সী ভোটাররা। ১৮-২৫ বছর বয়সীরা বেশিরভাগ বিজেপিকে ভোট দিতে চেয়েছে। তবে সেই সংখ্যাতেও গত আটমাসে উল্লেখযোগ্য ঘাটতি লক্ষ্য করা গিয়েছে।
মোদিকে ছাপিয়ে এগিয়ে রাহুল উল্লেখযোগ্যভাবে দক্ষিণ ভারতে নরেন্দ্র মোদীকে ছাপিয়ে রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে বেশি এগিয়ে রয়েছেন। দক্ষিণ ভারতীয়রা মোদীর চেয়ে রাহুলকে বেশি পছন্দ করছেন। রাহুল পেয়েছেন ২৭ শতাংশ ভোট, মোদী পেয়েছেন ২৪ শতাংশ ভোট।