জাতীয়

‘প্লাস্টিকের চালের বস্তা দেখলেই ছবি তুলবেন’

By Daily Satkhira

February 18, 2018

বাজারে চালের বাজারজাত, প্রক্রিয়াকরণ ও পরিবহনে যাতে শতভাগ পাটের বস্তা ব্যবহার করা হয় এজন্য সাংবাদিকদের সহযোগীতা চাইলেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: ফয়জুর রহমান চৌধুরী।

রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশন বিজেএমসি ও বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ এসোসিয়েশন বিসিএসএ’র মধ্যে এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ সহযোগীতার কথা বলেন।

চুক্তি অনুষ্ঠানে সচিব বলেন, আপনারা (সাংবাদিক) যখন কোন বাজারে যান তখন যদি কোন দোকানে প্লাস্টিকের চালের বস্তা দেখেন তাহলে ছবি তুলবেন। দোকানীরা ছবি তোলার বিষয়ে প্রশ্ন করলে আপনারা বলবেন এসব বস্তাতো ব্যবহার নিষিদ্ধ। তখন ভয়ে তারা আর প্লাস্টিকের বস্তা ব্যবহার করবে না। এভাবে আপনারা আমাদের সহযোগীতা করুন।

মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বাজারের প্লাস্টিক বস্তা সরাতে আগে যেভাবে অভিযান চালানো হতো এখন তাতে ভাটা পড়েছে কেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, আমরা অভিযান পরিচালনা করে আসার পর আবার তারা একইভাবে প্লাস্টিকের বস্তা ব্যবহার করছে।

পাটের বস্তার ব্যবহারে শিথিলতার প্রসঙ্গে সচিব বলেন, আমরা শুধুমাত্র ভিয়েতনাম ও মিয়ানমার থেকে আসা চালের বস্তার ক্ষেত্রে শিথিলতা দেখিয়েছি। আর তা গত বছরের ডিসেম্বরেই তুলে নেয়া হয়েছে।

তিনি জানান, চুক্তি অনুসারে বিজেএমসি বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ এসোসিয়েশন এর কাছে ৪৩৫ কোটি টাকা মূল্যের ১০ কোটি ৬০ লাখ পিচ পাটের বস্তা সরবরাহ করবে। এই সমঝোতা অনুযায়ী প্রতি পিচ পাটের বস্তার মূল্য ধরা হয়েছে ৪২ টাকা এবং চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বিজেএমসি বিসিএসএকে তা সরবরাহ সম্পন্ন করবে।

সচিব জানান, বর্তমানে ২৮৫ ধরণের পণ্য দেশে ও বিদেশে বাজারজাত করা হচ্ছে। অভ্যন্তরীণ বাজার ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন করে ইউরোপের দেশগুলোতে পাটজাত পণ্যের রফতানি বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

সচিব বলেন, এবছর শুরুর দিকে প্রধানমন্ত্রী আমাদের মন্ত্রণালয় পরিদর্শণকালে যে নির্দেশনা দিয়েছিলেন তা অনুসারে আমারা বিজেএমসিকে নিজের পায়ে দাঁড় করাতে কাজ করেছি এবং লোকসান হাত থেকে বাচাঁতে পেরেছি।

অনুষ্ঠানে বিজেএমসির পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব সালেহ উদ্দিন এবং বিসিএসের পক্ষে স্বাক্ষর করেন বিসিএসের প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. কামরুল হোসেন চৌধুরী।