নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরার আলীপুরের আলোচিত ভাইপো সাইদুজ্জামানের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশে গাত্রদাহ শুরু হয়েছে। অপকর্ম ঢাকতে ইতোমধ্যে সাইদুজ্জামান বিভিন্ন দপ্তরে ধর্নাদিচ্ছেন। এমন প্রচারও দিচ্ছেন খুলনায় তার কসমেটিসের দোকান রয়েছে। কিন্তু খুলনায় তার দোকান অথচ থাকেন সাতক্ষীরায় তাহলে কিভাবে সেটি পরিচালনা করেন সেটা নিয়ে রয়েছে সংশয়। তথ্যানুসন্ধানে জানাগেছে, উক্ত ভাইপো সাইদুজ্জামান চোরাকারবারি ব্যবসার সাথে জড়িত। সে স্বল্প শিক্ষিত হয়েও চোরাকারবারি ব্যবসা পরিচালনা করে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে। সে অধিকবার অবৈধ মালামাল সহ ধরা ও পড়েছে এছাড়া ১০জনু১৬ইং তারিখে ডিবি পুলিশের হাতে ধরা পড়ে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ছাড়া পান। এছাড়া বিভিন্ন থানায় মামলা ও রয়েছে যেমন পাটিকেলঘাটা থানা মামলা নং- ঝ.ঞ.ঈ- ১৭১/১৩, চলমান। প্রধানমন্ত্রী সহ বিভিন্ন আইন শৃংখলা বাহিনী প্রধানদের- চোরাকারবারীর বিরুদ্ধে কঠোর নির্দেশনা থাকলে ও সে দাপটের সাথে সকল কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। অবৈধপথে উপার্জনের মাধ্যমে কোটি টাকার মালিক হলেও চাচার সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের জন্য মরিয়া সে। অবৈধ টাকার প্রভাবে আইন, আদালত, জনপ্রতিনিধি কারো কোন তোয়াক্কাই করেন না ভাইপো সাঈদুজ্জামান। এমনই অভিযোগ সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলিপুর গ্রামের শরিয়াতুল্লা মোড়লের ছেলে ইমান আলীর। কাগজ পত্রানুযায়ী ভিটাবাড়ির জমি সকল ভাই বোনের মধ্যে ক্রয় বিক্রয় হওয়ার পর পথ, পুকুর, কবরস্থান বাদে চার ভাই যথাক্রমে প্রাপ্য বড় ভাই এনছাপ ০১.৭২(দখল নাই), মৃত ছামছুরের পুত্র সাইদুজ্জামান ১৪.৭৯ (দখল৩৪.২৫)শতক, ইমান ৩৩.৪৩ (দখল ২৪) শতক ও জিয়াদ আলী ১৯.২১ (দখল ১০.৯০) শতক করে প্রাপ্য। কিন্তু দেখা যায় ভিটাবাড়িতে সাইদুজ্জামান প্রাপ্য ১৪.৭৯ শতক ছাড়াও ১৯.৪৬ শতক ও বিলান ১৪.১২ শতক জমি দীর্ঘদিন জোর পূর্বক অবৈধ দখল করে রেখেছে। সেই সম্পত্তি ফেরত চাওয়ায় চাচা ইমান আলীর সাথে বিরোধে সূত্রপাত ঘটে। ইতোপূর্বে সাঈদুজ্জামানের চোরাকারবারী কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করায় ইমান আলীর ছেলে মোঃ হাবিবুল্লাহ বাহার কে ০১নং আসামী করে আরো তিন জনের নামে সাতক্ষীরা আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। উক্ত মামলায় হাবিবুল্লাহকে তার চাকুরি হারাতে হয়। চাকুরি হারিয়ে হাবিবুল্লাহ বর্তমানে মানবেতর জীবন – যাপন করছে। এরপর গত ২১জানুয়ারি১৮ তারিখের সদর থানার এস আই হাসানুর রহমান উক্ত মামলার তদন্ত করেন। তদন্তে উক্ত মামলা মিথ্যা প্রমানিত মর্মে প্রতিবেদনও দেন সদর থানার এস আই হাসানুর রহমান। এটা নিয়ে ডেইলি সাতক্ষীরায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের পর গাত্র দাহ শুরু হয়েছে সাইদুজ্জামানের। অত্র এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার ১২৫ জন গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গণস্বাক্ষর করেছেন। এঘটনা অসহায় চাচা ঈমান আলী বিলম্বে ওই চোরাকারবারি ভাইপোর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।