জি.এম আবুল হোসাইন : সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের মাধবকাটি বাজার সংলগ্ন আল আমিন মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষকের পদ দীর্ঘদিন ধরে শুণ্য, শ্রেণিকক্ষ সংকট, জরাজীর্ণ টিনসেড ও অনুকূল পরিবেশের অভাবে শিক্ষা কার্যক্রম দারুণভাবে ব্যাহত হচ্ছে। সহকারী শিক্ষকের পদ শুন্য থাকায় প্রশাসনিক ও শিক্ষা কার্যক্রম দারুনভাবে বিঘিœত হচ্ছে। এছাড়া শ্রেণি কক্ষ সংকট, জরাজীর্ণ টিনসেড ভবন, আসবাবপত্রের অপ্রতুলতার পাশাপাশি অবকাঠামগত সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করায় শিক্ষার্থীদের পাঠ দান ব্যাহত হচ্ছে। সেই সাথে শিক্ষকদের বেতন ভাতা না থাকার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে নাজুক অবস্থা বিরাজ করছে। ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এ মাদ্রাসায় প্রথম শ্রেণি থেকে দাখিল পর্যন্ত প্রায় তিন শতাধিক ছাত্রছাত্রী অধ্যয়ন করছে। আমাদের জাতীয় জীবনে শিক্ষার গুরুত্ব অত্যাধিক। দেশের মানুষের শিক্ষার আয়োজন এবং জনসংখ্যাকে দক্ষ করে গড়ে তোলার ভিত্তি মূল প্রাতিষ্ঠনিক শিক্ষা। তাই মানসম্মত শিক্ষা গ্রহণের জন্য জাতিস্বত্ত্বা-আর্থসামাজিক, শারীরিক ও মানসিক ভাবে গড়ে তোলার জন্য সকল শিশুদের সমান সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে শিক্ষা ব্যবস্থা চালু হয়েছে। কোমলমতি শিক্ষর্থীদের মনে আনন্দদায়ক পঠনে আগ্রহ সৃষ্টির পাশাপাশি সুরক্ষার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করতে নানামুখি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বর্তমান সরকার। এছাড়া তথ্য প্রযুক্তি শিক্ষা প্রদানে মাল্টি মিডিয়ার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে পুরো শিক্ষা ব্যবস্থার উপর যখনই যুগান্তকারী পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে, তখনই উপজেলার গুটিকয়েক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বহীনতা ও স্বেচ্ছাচারিতায় শিক্ষার মান একেবারে নাজুক অবস্থা বিরাজ করছে। এতে করে অভিভাবক সহ সচেতন মহলের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি সদর উপজেলার আল আমিন মহিলা মাদ্রাসায় গিয়ে দেখা গেছে শ্রেণি কক্ষ সংকট, প্রাণহানির ঝুঁকিতে জরাজীর্ণ টিনসেড ভবনে পাঠদান, খেলার মাঠ, টয়লেট ও সুপেয় পানির সুব্যবস্থা নেই। এছাড়া অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বর্ষা মৌসুম এলেই পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় পাঠ দান বন্ধ করে দেয়া হয়। সরকার শিক্ষার ক্রমাগত সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নানা মুখি উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের ব্যবস্থা নিলেও প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রমে এর কোন প্রভাব পড়েনি। ফলে প্রতিবছর শত শত কোমলমতি ছেলেমেয়েরা ঝড়ে পড়ছে। এসব নানাবিধ সমস্যা মাথায় নিয়ে চলছে পাঠদান। যা কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। মাদ্রাসার সুপার মাওলানা গোলাম রসুল জানান, তিনি শিক্ষা কার্যক্রম গতিশীল করতে প্রাণান্তকর চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। ১৬ বছর ধরে শিক্ষকেরা বেতন ভাতা না পেলেও তারা দায়িত্ব পালনে যথেষ্ট যতœবান। ৭নং ওয়ার্ড আ’লীগ ও মাদ্রাসার সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মো. খলিলুর রহমান সানা বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে শিক্ষকের পাঠদানে বাধ্য হচ্ছেন। সংস্কার করার মত যথেষ্ট অর্থ মাদ্রাসার তহবিলে নেই। এছাড়া সরকারি ভাবে তেমন কোন বরাদ্দ পাওয়া যায় নি। ব্যক্তিগত উদ্যোগে যথা শিঘ্রই সংস্কার করা ছাড়া বিকল্প উপায় নেই। এব্যাপারে সদর এমপি ও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা সহ অভিভাবকবৃন্দ।