ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যে দুই ‘ডাইনি’কে নির্যাতনের অভিযোগে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ‘ডাইনিবিদ্যা’ চর্চার অভিযোগে তাঁদের নির্যাতন করা হয় বলে জানা যায়।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বৃদ্ধা (৬৫) ও তাঁর মেয়েকে (৩৫) নগ্ন করে রাস্তায় হাঁটতে এবং মূত্রপানে বাধ্য করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভুক্তভোগী মেয়েটি জানান, তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রামে জাদুবিদ্যা ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ করা হয়।
ভারতের বিভিন্ন এলাকায় ‘ডাইনিবিদ্যা’ চর্চার জন্য নারীদের ওপর চড়াও হওয়ার ঘটনা প্রায়ই ঘটে।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব হামলার পেছনে অন্ধবিশ্বাস দায়ী। কিন্তু কখনো কখনো বিধবাদের জমি ও সম্পত্তি দখলের জন্যও এমন ঘটনা ঘটে থাকে।
বিবিসির প্রতিবেদক রবি প্রকাশকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বৃদ্ধা বলেন, গত ফেব্রুয়ারিতে লোকজন এসে তাঁর বাড়ির দরজায় সজোরে আঘাত করতে শুরু করে। এ সময় তাঁরা বাড়িতেই ছিলেন। গত সপ্তাহে পরিবারের একজন সদস্য মারা গেলে তাঁরা এক হাতুড়ে ডাক্তারের কাছে যান। কিন্তু চিকিৎসক মৃত্যুর জন্য তাঁদেরই দায়ী করেন। মা-মেয়ে এর প্রতিবাদ করলেও জোরপূর্বক তাঁদের একটি শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে লোকজন তাঁদের মাথার চুল কেটে দেয় এবং নগ্ন হয়ে রাস্তায় হাঁটতে ও মলমূত্র খেতে বাধ্য করে।
বৃদ্ধা বলেন, ‘আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম।’ কেউ তাঁদের সাহায্য করতে আসেনি বলেও জানান তিনি।
পুলিশ জানায়, ভবিষ্যতে এমন ঘটনা এড়াতে গ্রামে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রচার চালাচ্ছেন তাঁরা এবং একই সঙ্গে দুই নারীকে অতিরিক্ত নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে।