ফিচার

সুপ্রিমকোর্টের স্থগিতাদেশের পরও বন্ধ হয়নি কুশখালী গরুর খাটাল

By Daily Satkhira

February 23, 2018

নিজস্ব প্রতিনিধি: সুপ্রিমকোর্টের স্থগিতাদেশের পরও বন্ধ হয়নি সাতক্ষীরা সদরের কুশখালী গরুর খাটাল। বরং সুপ্রিমকোর্টের আদেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আজ বৃহস্পতিবার(২২.০২.১৮)ও এসেছে গরু, চলেছে সাতক্ষীরা সদরের কুশখালী গরুর বিট/খাটাল। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সচেতনমহলের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়ায় সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, সাতক্ষীরার তালা উপজেলার খলিলনগর গ্রামের জামিনী রায়ের ছেলে দেবব্রত কুমার রায় কুশখালী বিট/খাটাল পরিচালার জন্য হাইকোর্টে ৮৮১৫/২০১৭ নম্বর রিট পিটিশন দাখিল করেন। ২০১৭ সালের ৮ জুন ওই রিট পিটিশন অনুযায়ী দেবব্রত রায় কুশখালী বিট/খাটাল পরিচালনার দায়িত্ব পান। এর পর থেকে দেবব্রত কুশখালী বিট/খাটাল পরিচালনা করে আসছিলেন। কিন্তু কুশখালী গ্রামের ফজলুল রহমানের ছেলে ও কুশখালী ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শ্যামল হাইকোর্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে কুশখালী বিট/খাটাল স্থগিত চেয়ে সুপ্রিমকোর্টের লিভ টু আপীল ৫৬৭/২০১৮ নম্বর মামলা দায়ের করেন। মামলাটি আমলে নিয়ে ৩০ জানুয়ারী সুপ্রিম কোর্ট ৫ ফেব্রয়ারী মামলার শুনানির দিন ধার্য করে এবং সুপ্রিমকোর্ট ৫ ফেব্রয়ারী পর্যন্ত কুশখালী বিট/খাটালের কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করে। পরবর্তীতে গত ৫ ফেব্রয়ারী শুনানীর দিন মহামান্য সুপ্রিমকোর্টের লিভ টু আপীল ৫৬৭/২০১৮ নম্বর মামলায় ০৫.০২.২০১৮ খ্রিঃ তারিখের আদেশ মোতাবেক রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের ৮৮১৫/২০১৭ নম্বর রীট পিটিশন মামলার ০৮.০৬.২০১৭ খ্রিঃ তারিখের আদেশের কার্যকারিতা স্থগিত করে। কিন্তু দেবব্রত রায় ওই আদেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে কুশখালীর একজন প্রভাবশালী নেতা ও তার সাঙ্গপাঙ্গদেরও ইন্ধনে এখন পর্যন্ত খাটাল পরিচালনা করছে এবং আজ বৃহস্পতিবার(২২.০২.১৮) ওই খাটালে গরু এসেছে।

কুশখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ইউসুফ আলী বলেন, এখানে খাটালের আধিপত্ত নিয়ে এখানে গন্ডগোল হচ্ছে। দেবব্রত বাহির হতে এখানে এসে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা বানিজ্য করেছে। সে এলাকায় কারো ভাগ দেয়নি। এটি নিয়ে এলাকার মানুষের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটতে পারে।

এ ব্যাপারে কুশখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শ্যামল বলেন, গত ৫ ফেব্রয়ারী সুপ্রিমকোর্টের ফুল বেঞ্চ আগামী ৩০ চৈত্র পর্যন্ত কুশখালী বিট/খাটালের সকল কার্যক্রম স্থগিত করে, গত ১৮ ফেব্রয়ারী সাতক্ষীরা সদর ইউএনও, বিজিবি অধিনায়ক, রাজস্ব কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক বরাবর হাইকোর্টের ওই আদেশের কপি দেওয়া হয়েছে। তারপরও এখনও খাটাল বন্ধ হয়নি। আমার মনে হয় প্রশাসনের কিছু অসৎ কর্মকর্তার যোগসাজসে দেবব্রত এখনও খাটাল চালাচ্ছে। তা না হলে সুপ্রিম কোর্টের স্টে অর্ডারের পরও কিভাবে গরু আসে?