আশাশুনি

ভোটার ২৮৫ ভোট পড়েছে ৩০৩, গোয়ালডাঙ্গা বাজার কমিটির নির্বাচন!

By Daily Satkhira

February 24, 2018

আশাশুনি ব্যুরো/বড়দল প্রতিনিধি: আশাশুনির গোয়ালডাঙ্গা বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন ব্যপক অনিয়মের মধ্য দিয়ে সম্পর্ণ হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২ট পর্যন্ত ভোট গ্রহণের কথা থাকলেও ভোট গ্রহণ করা হয়েছে বিকাল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত। ভোটার তালিকায় ২৮৫ জনের তালিকা থাকলেও ভোট পোল হয়েছে ৩০৩। একাধিক সূত্র জানিয়েছে, নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হওয়ার পরে নতুন ট্রেড লাইসেন্স করে ভোট দিয়েছে অনেকেই। সর্বশেষ দেখানো হয়েছে ৩০৩ জন ভোটারের সবাই তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। নির্বাচনে পদাধিকার বলে বড়দল ইউপি চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান আঃ আলিম মোল্যা সভাপতি ও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বি¦তায় মহিউদ্দীন ফকির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। সহ-সভাপতি পদে মজিদ মোড়ল চেয়ার প্রতীকে ১৫২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আব্দুল হান্নান ছাতা প্রতীকে পেয়েছেন ১৪৯ ভোট । অর্থ সম্পাদক পদে রফিকুল ইসলাম ফল্টু আনারস প্রতিক নিয়ে ২১১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী আব্দুল কুদ্দুস গাজী হরিণ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৯২ ভোট। সদস্য পদে মুকুল হোসেন জাম্বু ভ্যান প্রতীকে ২৬২ ভোট, শামিম রেজা ফুটবল প্রতীকে ২৬০ ভোট, হোসেন আলী খোকন আম প্রতীকে ২১৯ ভোট, শরিফুল ইসলাম ফুল মাছ প্রতীকে ১২৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ইদ্রিস সানা টিউবওয়েল ১১১ ভোট ও রুহুল আমিন মোরক প্রতীকে ৯৫ ভোট পেয়েছেন। নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন প্রভাষক শান্তিলাল বিশ্বান ও প্রবীর বৈরাগী। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করেন আশাশুনি থানার এসআই শাহ আব্দুল আজিজ ও এএসআই জহুরুল ইসলাম। এসময় বড়দল ইউপি সদস্য আব্দুল কাদের, হাফেজ রুহুল আমিন, জিএম মোফিজুল ইসলাম, সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম, বি এম আলাউদ্দীন, মুকুল শিকারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে থাকা আশাশুনি থানার এসআই শাহ আব্দুল আজিজ জানান, প্রার্থীদের পক্ষ থেকে নির্ধারিত সময়ের পরে ভোট গ্রহণ এবং নির্বাচন চলাকালে ভোটার তালিকায় নতুন নাম সংযুক্তির প্রস্তাব আসলে আমি সকল প্রার্থীদেরকে একত্রে ডেকে বিষয়টি নিয়ে সবাইকে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছিলাম। পরবর্তীতে সকল প্রার্থীর সিদ্ধান্ত মোতাবেক নির্ধারিত সময়ের পরে ভোট গ্রহণ এবং নির্বাচন চলাকালে ভোটার তালিকায় নতুন নাম সংযুক্তির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।