শনিবার সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে লা লিগায় ৪-০ গোলে জিতেছে জিনেদিন জিদানের দল। একটি গোল করার পাশাপাশি দুই সতীর্থের গোলে অবদান রাখেন বেনজেমা।
পুরো ম্যাচে ৬৪ শতাংশ সময় বল দখলে রাখা রিয়াল মোট ২২টি শট নেয়। যার আটটি ছিল লক্ষ্যে। অনেকগুলো সুযোগ নষ্ট না হলে ব্যবধান আরও বড় হতে পারত।
চলতি মৌসুমে এই প্রথম সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা পাঁচটি ম্যাচ জিতল রিয়াল।
ঘরের মাঠে ১৬তম মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় রিয়াল; কিন্তু ডি-বক্সের মধ্যে এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে গোলরক্ষক বরাবর শট নেন রোনালদো। পরের মিনিটে পাল্টা আক্রমণে একা ডি-বক্সে ঢুকে করিম বেনজেমার নেওয়া শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
২৫তম মিনিটে গ্যারেথ বেলের ব্যাকভলি অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ার দশ মিনিট পর গোলরক্ষক বরাবর শট নেন লুকাস ভাসকেস। ৩৭তম মিনিটে কেইলর নাভাসের পরীক্ষা নেন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার আলফুন্সো পেদ্রাসা।
৪৪তম মিনিটে গোলের দেখা পায় রিয়াল। ডান দিক থেকে লুকাস ভাসকেসের ক্রস প্রতিপক্ষের এক জনের পায়ে লেগে বেনজেমার পায়ে এসে পড়ে। ঠাণ্ডা মাথায় ব্যাকহিলে রোনালদোকে বল বাড়ান এই ফরোয়ার্ড। আর সঙ্গে লেগে থাকা ডিফেন্ডারকে কোনো সুযোগ না দিয়ে বাঁ-পায়ের জোরালো শটে বল জালে পাঠান পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড।
বল লক্ষ্যে পাঠিয়ে বেনজেমার দিকে ইঙ্গিত করে রোনালদো দর্শকদের বোঝান, গোলটিতে কী দারুণ অবদান ছিল বের্নাবেউয়ে ও মৌসুমে প্রায়ই দুয়ো শোনা ফরাসি এই স্ট্রাইকারের।
দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম মিনিটেই দ্বিতীয় গোল পেয়ে যায় রিয়াল। মাঝমাঠে প্রতিপক্ষের ভুলে বেনজেমা বল ধরে অনেকটা এগিয়ে বাঁ-দিক দিয়ে ডি-বক্সে ঢোকা বেলকে পাস দেন। বাঁ পায়ের শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ওয়েলসের এই ফরোয়ার্ড।
৫৩তম মিনিটে বেনজেমার পাস পেয়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকে বেলের নেওয়া জোরালো শট ক্রসবারের একটু উপর দিয়ে যায়।
৬১তম মিনিটে জয় প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেন রোনালদো। বেলের পাস ধরে ডান দিক থেকে লুকাস ভাসকেস বল বাড়ান ডি-বক্সে। প্রায় ১২ গজ দূর থেকে ডান পায়ের নিচু শটে লিগে নিজের ১৪তম গোলটি করেন পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী এই ফুটবলার।
সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এই নিয়ে শেষ চার ম্যাচ খেলে আট গোল করলেন রোনালদো। রিয়াল সোসিয়েদাদের জালে হ্যাটট্রিক করার পর রিয়াল বেতিসের বিপক্ষে করেছিলেন এক গোল। আর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে পিএসজির বিপক্ষে জোড়া গোল করেন তিনি।
৮৯তম মিনিটে সফল স্পট কিকে আলাভেসের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন বেনজেমা। ডি-বক্সে গ্যারেথ বেল ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টিটি পায় রিয়াল। হ্যাটট্রিকের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও নিজে না নিয়ে গোলের সুযোগটি সতীর্থকে ছেড়ে দেন রোনালদো। ২৫ ম্যাচে ১৫ জয় ও ছয় ড্রয়ে ৫১ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে রিয়াল মাদ্রিদ। ৪ পয়েন্ট বেশি নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে এক ম্যাচ কম খেলা আতলেতিকো মাদ্রিদ।
চতুর্থ স্থানে থাকা ভালেন্সিয়ার পয়েন্ট ২৪ ম্যাচে ৪৬।