নিজস্ব প্রতিনিধি: কলারোয়া উপজেলার সরসকাটি বাজারে ওফাপুর মৌজায় সরকারি খাল দখল করে বহুতল ভবন নির্মানের অভিযোগ উঠেছে। কপোতাক্ষ নদের সাথে সংযুক্ত ওই অঞ্চলের পানি নিষ্কাষনের অন্যতম ওফাপুর খাল ও সরকারি জমি আংশিক দখলের ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। কতিপয় স্বার্থনেষি মহলকে ম্যানেজ করে স্থানীয় এক জামায়াত নেতার নেতৃত্বে ওই দখলের মহোৎসব হচ্ছে বলে জানা গেছে। স্থানীয়রা জানান- উপজেলার সরসকাটি বাজারসহ পার্শ্ববর্তী এলাকাটি বর্ষা মৌসুমে বন্যা কবলিত বা জলাবদ্ধ হয়ে পড়ে। বর্তমান সরকার যখন বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল-নদী খননসহ অন্যান্য ভাবে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ঠিক তখনি স্থানীয় চিহ্নিত কতিপয় জামায়াত নেতারা সরসকাটির ওই খাল দখলে মেতে উঠেছে। সরসকাটি বাজারের মোটরসাইকেল স্ট্যান্ডের পাশে সরকারি খাল দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ করছে, যার মূল নেতৃত্ব দিচ্ছে জামায়াত নেতা মজনু সানা। সেখানে আনুমানিক ৪/৫ কাঠার রাস্তার পাশে কিছুটা ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি থাকলেও পিছনের অংশে সরকারি ও খালের জায়গা দখল হয়েছে ভবন নির্মানের কাজে। স্থানীরা অভিযোগ করে জানান- পার্শ্ববর্তী যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার বরণড়ালী গ্রামের সাবেক মেম্বার ঢালু, একই এলাকার জামায়াত নেতা শাহাদাত হোসেন ও কলারোয়া উপজেলার জামায়াতের ‘ক্যান্টনমেন্ট খ্যাত’ গাজনা গ্রামের জামায়াত নেতা মজনু সানার নেতৃত্বে সরকারি ওই খাল দখল করে বহুতল ভবন নির্মান করা হচ্ছে। মজনু সানা যুবলীগ সভাপতি মেহেদি হাসান জর্জ হত্যা মামলার প্রধান আসামি ও জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা মাওলানা কামরুজ্জামানের আপন চাচা। মাওলানা কামরুজ্জামান কলারোয়া উপজেলার ১নং জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পরে সেসময় তার পরিবারের মজনু, রিপনসহ অন্যান্যরা মিলে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নিধনে মেতে ওঠে। আর জামায়াত নেতা মজনু সানার একমাত্র ছেলে টিপু খুলনা শহরের চিহ্নিত শিবির ক্যাডার। বেশ কিছুদিন আগে নাশকতা মামলায় তাকে খালিশপুর থানা পুলিশ আটক করে ও সে জেল খাটে। তাছাড়া গাজনা গ্রামটি জামায়াত ও শিবির অধ্যুষিত বলে স্থানীয়রা জানান। সেই জামায়াত নেতাদের প্রত্যক্ষ নেতৃত্বে সরকারি খালের অংশ বিশেষ দখল হয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে জামায়াত নেতা শাহাদাত হোসেন জানান- কিছু জায়গা আমাদের ব্যক্তি মালিকানা আর কিছু খালের হতে পারে। এ রিপোর্ট লেখার সময় অভিযুক্ত অন্যদের বক্তব্যের জন্য যোগাযোগ স্থাপন সম্ভব হয়নি। বিষয়টি নিরসনে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট ঊদ্ধর্তন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।