কালিগঞ্জ

পাইকগাছা-কয়রার গণমানুষের দাবি উপেক্ষিত ঘোষণার ৩৪ বছরেও প্রস্তাবিত সুন্দরবন জেলা বাস্তবায়ন হয়নি

By daily satkhira

November 07, 2016

বাবুল আক্তার পাইকগাছা: জেলা গঠনের সকল উপাদান ও অবকাঠামো থাকলেও প্রস্তাবিত সুন্দরবন জেলা ঘোষণার ৩৪ বছরেও বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে প্রস্তাবিত জেলাকে দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে পাইকগাছাসহ দক্ষিণ জনপদ আবারো সোচ্ছার হচ্ছে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সাথে কথা বলে এমনটি জানা গেছে। খুলনা জেলার সর্বদক্ষিণে অবস্থিত উপজেলার নাম পাইকগাছা ও কয়রা। যা খুলনা থেকে দূরত্ব ১২০ কিলোমিটার। ১৭টি ইউনিয়ন বেষ্টিত প্রায় ৮ লাখ জনগোষ্ঠির বসবাস। এক সময় দুটি থানা পাইকগাছা থানা হিসেবে পরিগণিত হতো। যার আয়তন ছিল ৮৫০ বর্গ মাইল। খুলনা সদর থেকে যশোর জেলার দূরত্ব ৫৬ কিলোমিটার, বাগেরহাটের দূরত্ব ৩৩ কিলোমিটার, সাতক্ষীরার দূরত্ব ৫৬ কিলোমিটার। অথচ, খুলনা সদর থেকে পাইকগাছার দূরত্ব ৬৮ কিলোমিটার ও কয়রার দূরত্ব ১২০ কিলোমিটার। যার সর্বদক্ষিণে বঙ্গোপসাগর ও সুন্দরবন অঞ্চল। এ দূর্গম অঞ্চল থেকে খুলনা সদরে যাবতীয় কর্মকান্ড কষ্টসাধ্য হওয়ায় ১৯৮২ সালের প্রথম দিকে মহাকুমার জন্য দাবি তোলা হয়। যার প্রেক্ষিতে ১৯৮২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জায়গীরমহলের এক জনসভায় তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ও বিচারপতি আব্দুস সাত্তার মহাকুমার ঘোষণা দেন। সে সময় মহাকুমাগুলো জেলায় পরিণত হওয়ায় সংগতি কারণে পাইকগাছা আজ জেলার হওয়ার দাবী রাখে বলে সুন্দরবন জেলা বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক এ্যাডঃ জি,এ, সবুর জানান। ১৯৯০ সাল পর্যন্ত মহামান্য রাষ্ট্রপতির ঘোষণা বাস্তবায়ন না হওয়ায় এ্যাডঃ জি,এ সবুরকে আহবায়ক ও মরহুম এ্যাডঃ স.ম. ইউসুফ আলীকে সদস্য সচিব করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট সুন্দরবন জেলা বাস্তবায়ক কমিটি গঠণ করা হয়। ২০০১ সালে সুন্দরবন জেলা বাস্তবায়ন সংগ্রাম কমিটি গঠণ করা হয়। যার আহবায়ক জি,এম, মিজানুর রহমান, যুগ্ম আহবায়ক প্রশান্ত কুমার মন্ডল। সুন্দরবন জেলা গঠণে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়ন, দাকোপের ২/১ টি ইউনিয়ন, সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়ন নিয়ে জেলা গঠণে ম্যাপ তৈরি করা হয় বলে পৌরসভা বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক শেখ শাহাদাৎ হোসেন বাচ্চু জানান। এছাড়া পাইকগাছা উপজেলায় ১টি পৌরসভা, ১টি মৎস্য গবেষণা কেন্দ্র, ৯টি কলেজ, ২টি সরকারি বিদ্যালয় রয়েছে। দু’উপজেলায় পৃথক সহকারী জজ আদালত ও জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত রয়েছে। জন্মগ্রহণ করেছেন বৈজ্ঞানিক, মনীষী ও পীর পয়গম। যার মধ্যে জগদ্বিখ্যাত বিজ্ঞানী আচার্য্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়, বিনোদ বিহারী সাধু, পীর জাফর আউলিয়া, আলমশাহী, দানবীর মেহের মুছল্লী, সাহিত্যিক কাজী ইমদাদুল হক, সর্বশেষ বাংলাদেশের গর্বিত সাবেক স্পীকার শেখ রাজ্জাক আলীর মত কৃতি সন্তানরা। এ ব্যাপারে পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর বলেন, জেলা দাবি একটি বাস্তব সম্মত দাবি। যতদিন দাবি পূরণ না হবে আমরা আন্দোলন করবো। অচিরেই আমরা কর্মসূচি ঘোষণা করব। জেলা বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক জি,এ, সবুর বলেন, এ দাবি আমাদের ন্যায্য দাবি। এটি যাতে দ্রুত বাস্তবায়ন হয় সে ব্যাপারে আমরা কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।