মোস্তাফিজুর রহমান: আশাশুনিতে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়ই একটি এনজিও ৫ শতাধিক গরু-ছাগলের ভিটামিন ইনজে´ান প্রয়োগ করায় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে প্রায় ২শতাধিক মালিক। কালিগঞ্জ উপজেলার বে-সরকারি এনজিও প্রতিষ্ঠান নব যাত্রা কতৃক এ বিড়াম্বনার স্বীকার উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের নৈকাটি গ্রামের প্রায় ২শাধীক পরিবার। সরেজমিন ঘুরে ক্ষতিগ্রস্ত ও বিড়ম্বনার স্বীকার একাধিক মালিকের সাথে কথাবলে জানাগেছে, গত ২১ ফেব্রুয়ারি বুধবার কালিগঞ্জ উপজেলার এনজিও নব যাত্রা’র ২ জন কর্মী নৈকাটি গ্রামে প্রবেশ করে মসজিদের মাইকে ঘোষনা দিতে বলেন, আশাশুনি উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের অনুমতি স্বাপেক্ষে আগামিকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দিন ব্যাপী এলাকার সকল ছাগল ও গরুর ডি-ক্যাম ও বি-কমপ্লেক্স ইনজেক্সান দেওয়া হবে। ঘোষনা মোতাবেক পরের দিন ২২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার কালিগঞ্জ উপজেলার এনজিও নব যাত্রা’র স্বাস্থ্য কর্মী পরিচয়ে হাসানুজ্জামান ও সাগর নামে ২জন ব্যক্তি ১০ ও ২০ টাকার বিনিময়ে প্রায় ৪শতাধিক ছাগল ও শতাধিক গরুর শরীরে ইনজেক্সান প্রয়েগ করেন। ইনজেক্সান প্রয়েগের ১দিন পর থেকে বহু ছাগল এবং গরু ফুঁলে অসুস্থ্য হয়ে পড়তে শুরু করে। ৩দিনের মধ্যে ৪টি ছাগল মারা যায়। ২৬ ফব্রুয়ারি সোমবার এনজিও কর্মী হাসানুজ্জামানের দিয়ে যাওয়া মোবাইল নাম্বার ০১৯৮১-২৮০৯৭৬ এ বহুবার ফোন দিলে, আসছি আসছি বলে অবশেষে ফোনের সুইস অপ করে রাখেন। অবস্থা বেগতিক দেখে ভুক্তভোগিরা উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মিজানুর রহমানের সাথে বিস্তারিত খুলে বলেন। বিষয়টি নিয়ে কথা বললে এনজিও নব যাত্রা’র স্বাস্থ্য কর্মী হাসানুজ্জামান বলেন, নব যাত্রা’র কালিগঞ্জ অফিসের ম্যানেজার কামাল উদ্দীন আমাদেরকে সেখানে ছাগল ও গরুর ডি-ক্যাম ও বি-কমপ্লেক্স ইনজেক্সান দেওয়ার জন্য পাঠিয়েছিলেন। আমরা বসের নির্দেশ অনুসারে দায়িত্ব পালন করেছি। নব যাত্রা’র কালিগঞ্জ অফিসের ম্যানেজার কামাল উদ্দীনের সাথে মুঠো ফোনে (০১৯০৬-১৮৯৭৬৫ নাম্বার এ) কথা বললে তিনি প্রথমে বলেন ভালো কাজ করতে অনুমতি লাগে নাকি? ৪টি ছাগল মরে যওয়ার কথা বললে তিনি বলেন, ওই ২জন আমাদের এনজিও’র কেহ না। আশাশুনি উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মিজানুর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি প্রতিবেদককে জানান, ঘটনা জানার পরপরই আমি সেখানে গিয়ে আক্রান্ত ছাগল গরুগুলোর চিকিৎসা দিচ্ছি। অধিকাংশ ছাগল ও গরুর শরীরে প্রচুর তাপের পাশাপাশি ফুঁলতেও দেখাগেছে। ইতমধ্যেই কয়েকটি ছাগল মারা গেছে আরও কিছু ছাগল গরুর অবস্থা আশঙ্খা জনক। আমাদের দপ্তর থেকে নব যাত্রা কোন অনুমতি নেননি। আমি ক্ষতিগ্রস্থদেরকে আশাশুনি থানায় মামলা করার কথা বলেছি। আশাশুনি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিদুর ইসলাম শাহীন জানান, আমি এবিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে আশাশুনি থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল বলে জানা গেছে।