পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে রাস্তার পাশে পুঁতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীতে নিয়োজিত চার বাংলাদেশি সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন, গুরুতর আহত হয়েছেন আরও চার বাংলাদেশি।
এর আগে গত সেপ্টেম্বরে দেশটিতে বিদ্রোহীদের হামলায় তিন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত এবং চারজন আহত হন।
বুধবার মালির মোপ্তি এলাকার বনি ও দোয়েন্তজা শহরের সংযোগ সড়ক দিয়ে শান্তিরক্ষীরা গাড়িতে করে যাওয়ার পথে বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনা ঘটে বলে দেশটিতে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন মিনুসমা জানিয়েছে।
এ বিবৃতিতে বিস্ফোরণে হতাহতের খবর দিলেও তারা কোন দেশের নাগরিক তা জানায়নি জাতিসংঘের এই মিশন।
পরে বাংলাদেশের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর আইএসপিআর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে হতাহতরা বাংলাদেশি বলে জানায়।
নিহতরা হলেন- সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার আবুল কালাম, পিরোজপুর (৩৭ এডি রেজি. আর্টি.); ল্যান্স কর্পোরাল আকতার, ময়মনসিংহ (৯ ফিল্ড রেজি. আর্টি.); সৈনিক রায়হান, পাবনা (৩২ ইবি) এবং সৈনিক (পাচক) জামাল, চাপাইনবাবগঞ্জ (৩২ ইবি)।
আহতরা হলেন- কর্পোরাল রাসেল, নঁওগা (৩২ ইবি); সৈনিক আকরাম, রাজবাড়ি (৩২ ইবি); সৈনিক নিউটন, যশোর (১৭ বীর) এবং সৈনিক রাশেদ, কুড়িগ্রাম (৩২ ইবি)।
আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে আইএসপিআর জানিয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মালির স্থানীয় সময় আনুমানিক দুপুর আড়াটায় দোয়েঞ্জা নামক স্থানে ভয়াবহ আইইডি বিস্ফোরণে চার বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত এবং আরও চারজন আহত হয়।
ওই এলাকায় আগের দিন একই ধরনের ঘটনায় মালির ছয় সেনা সদস্য নিহত হন বলে মিশনের এক বিবৃতিতে বলা হয়।
২০১৩ সালে মালির উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন শহর থেকে বিদ্রোহী জঙ্গি ও বিচ্ছিন্নতাবাদী তুয়ারেগদের হটিয়ে দেয় ফরাসি বাহিনী। এরপর ওই বছরই দেশটিতে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মোতায়েন করা হয়।
এই মিশনই জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে।
সেখানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশসহ ৫০টি দেশের প্রায় ১১ হাজার সৈন্য কাজ করছে। এই মিশনে ২৫টি দেশের পুলিশ সদস্য রয়েছে দেড় হাজারের বেশি, যাদের মধ্যে বাংলাদেশি পুলিশও রয়েছে।