লোহাগড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটুর বিরুদ্ধে জিডি করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরা পারভীন। বুধবার তিনি এ জিডি দায়ের করেন। তিনি জিডিতে উল্লেখ করেছেন, উপজেলা চেয়ারম্যান তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সময় প্রকাশ্যে ও মোবাইলে হুমকি দিয়ে আসছেন। এ কারণে তিনি জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
জিডি সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটু ২০১৭ সালে ২৯ জুন কিছু ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে বরাদ্দ নিয়ে আসেন এবং আমাকে ওই প্রকল্পে স্বাক্ষর করতে বলেন। ভুয়া প্রকল্প হওয়ায় আমি বিলে স্বাক্ষর করি নাই। স্বাক্ষর না করায় চেয়ারম্যানের আনীত ৩৯ লাখ টাকা সংশিষ্ট মন্ত্রাণালয়ে ফেরত চলে গেছে। আর এ কারণে আমার সাথে উপজেলা চেয়ারম্যানের দ্বন্দ্ব ও শত্রুতার সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে তিনি প্রকাশ্যে, মোবাইলে ও লোকমারফত আমাকে বিভিন্ন ভাবে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছেন।
তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, চেয়ারম্যান সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটু একজন কুখ্যাত সন্ত্রাসী, শীর্ষ সন্ত্রাসী বিকাশ-প্রকাশ বাহিনীর সহযোগী ছিলেন এবং একজন পেশাদার খুনি। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি রাজনীতির সাথে জড়িত হয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ না করে টাকা আত্মসাৎ করায় দুদক তার নামে মামলা দায়ের করেছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীন জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটু বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একজন ঘুষখোর অফিসার। তিনি দু’হাত দিয়ে ঘুষ খান। আমি কোন প্রকল্প আনি নি এবং তার সাথে আমার কোন বিষয়ে দ্বন্দ্ব ও শত্রুতা নেই। প্রয়োজন ছাড়া তার সাথে আমার ফোনে কোন কথা হয় না।