সিরিয়ার ঘৌটায় বেশ কয়েকদিন বিমান হামলার পর এবার সেখানে ঢুকে পড়ছে আসাদ বাহিনী। তাদের সহায়তায় রয়েছে রাশিয়ান ও সিরিয়ার বিমান বাহিনীর বোমাবর্ষণ।
আসাদ বাহিনী সেখানে প্রবেশ করে বেশ গোলকধাধায় পড়ছে। কারণ সেখানে মাটির নিচে সুড়ঙ্গ ঘাঁটি তৈরি করে সেখানে অবস্থান করছে হাজার হাজার বিদ্রোহী। মাকড়সার জালের মতো ঘৌটার অলিগলিতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে তাদের শক্তিশালী নেটওয়ার্ক।
শুধু মাটির নিচেই নয়, ট্যাঙ্ক, রকেট, আর্টিলারি থেকে শুরু করে সব ধরনের আধুনিক অস্ত্র রয়েছে বিদ্রোহীদের হাতে। দামেস্ক শহরের কাছে হারাস্তাসহ অন্যান্য শহরে এদের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে।
আসাদ বিরোধীদের মধ্যে বিভিন্ন গ্রুপ রয়েছে। তবে সবাই আসাদ বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে যাচ্ছে। ২০১৩ সাল থেকেই ঘৌটা বিদ্রোহীদের দখলে রয়েছে। এটিই সর্বশেষ এলাকা, যেটি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
রাশিয়ার যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনা সত্ত্বেও বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। দ্বিতীয় দিনে পড়েছে যুদ্ধবিরতি। সকাল ৯টা থেকে রাত ২টা মাত্র পাঁচ ঘণ্টার বিরতির সময় বেঁধে দিয়েছে রাশিয়া।
যুদ্ধবিরতির পরেও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি এতটুকুও। বুধবারও চলেছে গোলাগুলি। এখনো ভয়াবহ পরিস্থিতিতে আটকে রয়েছেন অসংখ্য মানুষ। অব্যাহত বোমা হামলায় গত ১০ দিনে অন্তত ৬০০ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে।
বোমা হামলার মধ্যে আটকে পড়াদের জন্য কোনো ত্রাণ সরবরাহও সম্ভব হয়নি। ত্রাণ বোঝাই প্রায় ৪০টি ট্রাক ওই এলাকায় ঢোকার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। কিন্তু জাতিসংঘের যুদ্ধবিরতির অনুমোদন সত্ত্বেও হামলা বন্ধ না হওয়ায় ট্রাকগুলো ঢুকতে পারছে না।
বুধবার রাতেই পূর্ব ঘৌটার হাউয়েসে আল দাওয়াহরা শহরসহ পূর্বাঞ্চলের ভেতরে অনেকটা অগ্রসর হয়েছে আসাদের সিরিয়ান আরব আর্মির (এসএএ) সেনারা। এই এলাকা থেকে আটকে পড়া সিরীয়দের বের হয়ে যাওয়ার সুযোগ দিলেও কোনো অধিবাসীই ঘৌটা ছেড়ে বের হয়নি।