মোস্তাফিজুর রহমান, আশাশুনি ব্যুরো: আশাশুনিতে সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত। শনিবার বেলা ১২টায় আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাব হলরুমে উপজেলার নয়াখালী বে-সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাব্বির আহম্মেদ তার লিখিত বক্তব্যে ও সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, আনুলিয়া মহিলা মাদ্রাসার সহকারী মৌলভী শিক্ষক নজরুল ইসলাম গত বৃহম্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে আমি সহ আমার প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষক ও চেচুয়া গ্রামের করিম বক্স সরদারের পুত্র মোস্তাফিজুর রহমানকে জড়িয়ে বিভিন্ন মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। তিনি আরও বলেন নয়াখালী বে-সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামে শিক্ষানুরাগী মৃত ছিয়ামউদ্দীন শেখ ও চেচুয়া গ্রামের আবু দাউদ সানা নিজেদের সম্পত্তি প্রতিষ্ঠানের নামে মহা পরিচালক প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ঢাকা বরাবর রেজিষ্ট্রি করে দেন। অন্যদিকে তৎকালিন রাজাপুর কমিউনিটি বিদ্যাঃ প্রধান শিক্ষক ও বর্তমানে কাপসন্ডা সরকারী প্রাথঃ বিদ্যাঃ প্রধান শিক্ষক তাপস কুমার মন্ডল ও আনুলিয়া মহিলা মাদ্রাসার সহঃ মৌলভী শিক্ষক নজরুল ইসলাম এর যোগসাজশে ২০১২সালের প্রথম দিকে সাব্বির আহমেদ, আব্দুর রশিদ, লাকি পারভীন ও ফতেমার নিকট থেকে সার্টিফিকেটসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নজরুল জমা নেন। এবং ২০১৭ সালের অক্টোবর পর্যন্ত বিভিন্ন কিস্তিতে আমাদের নিকট থেকে স্কুলের কাজের কথা বলে প্রায় সাড়ে ৮লাখ টাকা নেয় কিন্তু আমাদের নিয়োগ সংক্রান্ত/স্কুল সংক্রান্ত কোন কাগজপত্র দেন নাই। এর পরেও শিক্ষক নজরুল ও তাপস মন্ডল আরও ১০লাখ টাকা দাবী করেন। আমরা অতিরিক্ত টাকা দিতে অস্বীকার করে পূর্বের টাকা ফেরত অথবা নিয়োগের কাজপত্র দাবী করলে শিক্ষক তাপস বলেন আমার স্ত্রীকে প্রতাপনগর ফকির তাকিয়া বে-সরঃ প্রাথঃ বিদ্যালয়ে যেভাবে নিয়োগ দিয়েছি, আমার গুরুর মাধ্যমে দুটি স্কুলের কাগজপত্র একই সাথে সম্পন্ন করে দেব। আমার কথা না মানলে আপনাদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। উল্লেখ্য জমিদাতা মৃত্যুতে সন্তান নজরুল ইসলাম পিতার দানকৃত সম্পত্তি ফিরিয়ে নিতে বিভিন্ন ফন্দি ফিকর সহ মামলা মকদ্দমা চালিয়ে যাচ্ছেন। এমতাবস্থায় সংবাদ সম্মেনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট হয়রানী বন্দের প্রতিকার চেয়েছেন ভুক্তভোগীর পক্ষে প্রধান শিক্ষক সাব্বির হোসেন।