নিজস্ব প্রতিবেদক : লাবসা ইউপিতে তালা লাগিয়েছে ক্ষুদ্ধজনগণ। শনিবার বিকালে ইউপি সদস্য, স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ জনগণ পরিষদে তালা লাগিয়ে দেন। পরিষদের সচিব গোপনে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বের করার ঘটনায় সাধারণ জনগণ ক্ষুব্ধ হয়ে তালা লাগিয়েছে বলে জানাগেছে। স্থানীয়রা জানান, লাবসা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম পরিষদের বিভিন্ন প্রকল্পের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা উত্তোলন করে কাজ না করে আত্মসাত করে। এঘটনায় সাতক্ষীরার বিভিন্ন গণমাধ্যমে চেয়ারম্যান আলিমের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশিত হলে টনক নড়ে প্রশাসনসহ উর্দ্ধতন মহলের। এঘটনায় গত ২৬ ফেব্র“য়ারি ডিডিএলজি আব্দুল লতিফ খান লাবসা ইউপি পরিদর্শনে যান। পরিদর্শনকালে তিনি ইউনিয়নের অর্থআত্মসাতের বিষয়ে ইউপি মেম্বরদের লিখিত বক্তব্য গ্রহণ করেন। এসময় ডিডিএলজি উক্ত প্রকল্পগুলোর কাগজপত্র দেখতে চাইলে ইউপি সচিব আব্দুর রাজ্জাক দেখাতে পারেননি। তখন সচিব আব্দুর রাজ্জাক বলেন কাগজপত্র সবই ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে। আমার কাছে নেই এবং এ বিষয়ে সচিব আব্দুর রাজ্জাক ডিডিএলজির কাছে লিখিত দেন। এদিকে ৩মার্চ শনিবার সরকারি ছুটির দিনে ইউপি সচিব আব্দুর রাজ্জাক গোপনে ইউনিয়ন পরিষদে প্রবেশ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বের করে নিয়ে যায়। এঘটনায় স্থানীয় জনগণ ক্ষুদ্ধ হয়ে ইউপি সদস্যদের সাথে নিয়ে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে পরিষদে তালা লাগিয়ে দেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, প্যানেল চেয়ারম্যান গোলাম কিবয়ার বাবু, ২নং ওয়ার্ড সদস্য সাঈদ আলী সরদার, ৩নং ওয়ার্ড সদস্য আজিজুর ইসলাম, ৪নং ওয়ার্ড আসাদুজ্জামান আসাদ, ৫নং ওয়ার্ড সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম, ৯নং ওয়ার্ড সদস্য মনিরুল ইসলাম, লাবসা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি এড. মোস্তাফিজুর রহমান শাহনওয়াজ, সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান সজলসহ লাবসা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। এঘটনায় ইউপি সচিব আব্দুর রাজ্জাকের ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারটি বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এঘটনায় লাবসা ইউনিয়নের সাধারণ জনগণ প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।