শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষক ও বিশিষ্ট লেখক অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের ওপর হামলাকারী ফয়জুর হাসান ওরফে ফয়জুল ওরফে শফিকুর জঙ্গিবাদে বিশ্বাসী বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে র্যাব। সিলেট র্যাব-৯ অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আলী হায়দার আজাদ এ কথা জানিয়েছেন। রবিবার (৪ মার্চ) দুপুর ৩টায় র্যাব-৯ সদর দফতরে প্রেসব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
কর্নেল আলী হায়দার আজাদ বলেন, ‘ফয়জুরের কাছ থেকে র্যাব বিভিন্ন ধরনের তথ্য পেয়েছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে র্যাবের একটি দল কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে র্যাব তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এ ধরনের হামলা কেউ একা করতে পারে না। তার সঙ্গে আরও কেউ ছিল বলে আমরা ধারণা করছি। তবে জিজ্ঞাসাবাদে ফয়জুর র্যাবকে জানায়—সে একাই এ হামলা চালিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ফয়জুর একসময় মাদ্রাসায় দাখিল পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে। এরপর সে আর পড়েনি। বিভিন্ন সময়ে সে বিভিন্ন স্থানে কাজ করেছে। তার সঙ্গে আর কারা জড়িত—সেগুলো তদন্ত করে দেখছে র্যাব। তাকে সিলেট মহানগর পুলিশের জালালাবাদ থানায় হস্তান্তর করা হবে। হামলার ঘটনার মূল বিষয়টি দেখবে পুলিশ। আর পুলিশের পাশাপাশি আলোচিত এ ঘটনার ছায়াতদন্ত করবে র্যাব।’
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, ‘ফয়জুরের পরিবারের কাউকে এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাদের সন্ধানের জন্য কাজ চলছে। জাফর ইকবালের প্রতি ফয়জুরের দীর্ঘদিনের আক্রোশ ছিল। তিনি নাকি ইসলামের শত্রু। সেই আক্রোশের জের ধরেই তার ওপর হামলা চালায় ফয়জুর। কুমারগাঁওয়ের শেখপাড়ার বাড়ি থেকে র্যাব বিভিন্ন ধরনের ইসলামি বই ও বেশ কিছু আলামত সংগ্রহ করেছে। সেগুলো র্যাবের অপর একটি দল খতিয়ে দেখছে।’
র্যাব জানায়, ফয়জুর সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই থানার কালিয়াকাপন গ্রামের বাসিন্দা সদর উপজেলার টুকেরবাজেরর মাদরাসা শিক্ষক হাফিজ আতিকুর রহমানের ছেলে।