কে.এম রেজাউল করিম : দেবহাটার রুপসী ম্যানগ্রোভ পিকনিক স্পটটি প্রশাসনের পৃষ্টপোষকতায় হতে চলেছে অন্যতম একটি বিনোদন কেন্দ্র। গত কিছুদিন আগে থেকে দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ-আল আসাদের নির্দেশনায় এই বিনোদন কেন্দ্রটিকে আরো নান্দনিক ও নয়নাভিরাম করে একটি সৌন্দর্যপূর্নভাবে মানুষের চিত্ত বিনোদনের জন্য গড়ে তুলতে ট্রেইল নির্মান ও দিঘীতে প্যাডেল বোর্ড দেয়া, পকা বেঞ্চ নির্মান, গাড়ী গ্যারেজ, উপজেলা সদর থেকে রুপসী ম্যানগ্রোভ পর্যন্ত পিচের রাস্তা নির্মান সহ বিভিন্ন কাজ শুরু করা হয়েছে। ভারত-বাংলাদেশ বিভাজনকারী ইছামতি নদীর কুল ঘেষে দেবহাটা উপজেলার শীবনগর গ্রামে গত ৪/৫ বছর আগে মানুষের চিত্ত বিনোদনের লক্ষ্যে দেবহাটা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সুন্দরবনের আদলে গড়ে তোলা হয় “রুপসী ম্যানেগ্রাভ” বিনোদন কেন্দ্র। তৎকালীন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ড. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই “রুপসী দেবহাটা ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট” উদ্বোধন করেন। এখানে সুন্দরবন থেকে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ এনে রোপন করা হয়, খনন করা হয় একটি দিঘী, তৈরী করা হয় একটি রেস্ট হাউজ। সেসময় থেকে এখানে দুর দুরান্ত থেকে সাধারণ মানুষ সহ প্রশাসনের বড় বড় কর্মকর্তারা আসেন কিছুটা শান্তির পরশ নিতে। গত ২ বছর আগে এখানে আসেন প্রধানমন্ত্রীর কার্য্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) কবির বিন আনোয়ার। তিনি জায়গাটিতে এসে মুদ্ধ হন এবং উন্নয়নের সবধরনের আশ^াস প্রদান করেন। দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ-আল আসাদ জানান, রুপসী দেবহাটা ম্যানগ্রোভ পর্যটন কেন্দ্রটি দেবহাটা উপজেলার শিবনগর মৌজার ১ নং খতিয়ানের ৩৯৮ নং দাগের ইছামতি নদীর তীরে জেগে ওঠা চরভূমি। যার আয়তন ৩১.৪৬ একর (০৭ একর পুকুরসহ)। দেবহাটা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গড়ে ওঠা ম্যানগ্রোভ বন সাতক্ষীরা জেলার বর্তমানে একটি উল্লেখযোগ্য পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। এ পর্যটন কেন্দ্রে রয়েছে সুন্দরবনের বিভিন্ন প্রজাতির গাছ-গাছালি ও নানা ফলদবৃক্ষ। দুরদুরন্ত থেকে দেশী ও বিদেশী পর্যটকরা এসে বাংলাদেশ ও ভারত সীমান্তবর্তী ইছামতি নদীর সৌন্দর্য এবং রুপসী দেবহাটা ম্যানগ্রোভ বনের অপরুপ সৌন্দর্যে মুগ্ধ হচ্ছেন। ইউএনও আরো বলেন, এখানে সাধারনত প্রতিদিন ৫০০-৬০০ জন এবং শুক্র ও শনিবার ১০০০ জন পর্যটক আসছেন। তারা নিয়মিত পর্যটন কেন্দ্রেটির সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। পর্যটন কেন্দ্রটির পুকুরে পর্যটকদের জন্য একটি প্যাডেল নৌকা নামানো হয়েছে। যা পর্যটন কেন্দ্রটির সৌন্দর্যের নতুন মাত্রা যোগ করেছে এবং পর্যটকরা বেশ আগ্রহের সাথে উপভোগ করছেন এবং ম্যানগ্রোভ পর্যটন কেন্দ্রটি আরও আকর্ষনীয় করা হলে সরকারি রাজস্ব আরো বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে দেবহাটা উপজেলা তথা সাতক্ষীরা জেলার সুনাম বয়ে আনবে বলে তিনি জানান। তিনি জানান, বিনোদন কেন্দ্রটিকে রক্ষনাবেক্ষন এবং নিয়ম শৃঙ্খলা বজায় রাখতে উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে কয়েকজন কর্মচারী সবসময় খুবই আন্তরিকভাবে কাজ করছে।