কালিগঞ্জ

কালিগঞ্জে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও গ্রাহক হয়রানির অভিযোগ

By Daily Satkhira

March 06, 2018

মোঃ আরাফাত আলী: সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কালিগঞ্জ জোনের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজারসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও গ্রাহক হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড, সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার, সাতক্ষীরা-৩ ও ৪ আসনের সংসদ সদস্যসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ প্রেরণ করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ, খুঁটি স্থানান্তর বা সংযোগ স্থানান্তরে অর্থবাণিজ্যসহ নানাবিধ অনিয়ম করছেন ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজারসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ। অভিযোগ উঠেছে গ্রাহকদের সাথে অসদাচারণের। দালালের মাধ্যমে টাকা দিলে অনিয়মকে নিয়মে পরিণত করে দ্রুত সংযোগ পাওয়া যায়। যারা ঘুষ আদান প্রদানের লাইন বুঝতে অক্ষম হন বছরের পর বছর ঘুরেও তাদের বাড়িতে বিদ্যুতের সংযোগ মেলে না। বিভিন্ন ভুক্তভোগী ব্যক্তির আবেদনপত্রে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সুপারিশ করলেও সেগুলো আমলে নেন না কালিগঞ্জ জোনের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার বা অন্যান্য কর্মকর্তারা। বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামালীগ কালিগঞ্জ উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি আলহাজ্জ্ব হাফেজ মাওলানা শেখ আব্দুল্যাহ সাক্ষরিত অভিযোগপত্রে আরও জানান, তারালী ইউনিয়নের বরেয়া আশ্রায়ন প্রকল্পে আট বছর আগে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বিদ্যুতের খুঁটি বসানো হয়। ওই প্রকল্পে বসবাসকারীরা বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়ার জন্য আবেদন করলেও অবৈধ অর্থের সংযোগ ঘটাতে না পারায় তারা বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে দীর্ঘদিন বঞ্চিত ছিলেন। অবশেষে প্রায় এক মাস আগে পল্লী বিদ্যুতের কালিগঞ্জ অঞ্চলের এক পরিচালকের মাধ্যমে সংযোগ প্রাপ্তির জন্য গ্রাহকপ্রতি ২২ শ’ টাকা হারে প্রদানের পর মিলেছে কাঙ্খিত বিদ্যুৎ সংযোগ। আট বছর আগে বিদ্যুতের খুঁটি স্থানান্তরের জন্য আবেদন জানান উপজেলার পূর্ব নলতা গ্রামের জনৈক রঞ্জু আহমেদ। উৎকোচ দিতে না পারায় খুঁটি সরানোর উদ্যোগ নেয়নি বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কালিগঞ্জ জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার তুষারকান্তি মন্ডল বলেন, অনিয়ম ও দুর্নীতির যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা আদৌ সঠিক নয়। সরেজমিন দেখলে সকল অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, রঞ্জু আহমেদ নিজের জমি থেকে খুঁটি সরিয়ে অন্যের জমিতে বসাতে বলছেন। কিন্তু দু’বার উদ্যোগ নিয়েও জমির মালিকের আপত্তির কারণে খুঁটি স্থানান্তর সম্ভব হয়নি। নিয়ম অনুসরণ করেই বরেয়া আশ্রায়ণ প্রকল্পে বিদ্যু সংযোগ প্রদান করা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।