তালা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ৯ জেলে সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ঘূর্ণিঝড় নাডার কবলে পড়ে মারা গেছে বাসুদেব অধিকারী (৩৫) নামের এক জেলে। সে উপজেলার বাউখোলা গ্রামের বিমল অধিকারীর ছেমেঙ্গলবার সন্ধ্যায় তার লাশ বাড়িতে নিয়ে আসলে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। এদিকে উক্ত ঝড়ে ৩ জন প্রাণে বেঁচে গেলেও এখনও নিখোঁজ রয়েছে ৫ জেলে। তারা হলো বাউখোলা গ্রামের সন্তোষ অধিকারীর পুত্র শ্রীপদ অধিকারী (৩৪), ষষ্ঠীধরের পুত্র পিন্টু অধিকারী (২৬),একই গ্রামের তমেজ উদ্দিনের পুত্র হাসান আলী (৩৭),শ্রীমন্তকাটি গ্রামের কুঞ্জ বিশ্বাসের পুত্র উত্তম বিশ্বাস (২৬) এবং খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কাশিম নগর গ্রামের উত্তমের পুত্র কুমারেশ (২৮)। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও এখনো তাদের কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ সময় ২টি ট্রলারের মধ্যে ১টি ট্রলার ভাংগাচোরা অবস্থায় পাওয়া গেলেও একটির কোন হদিস মেলেনি। নিহতের স্বজরা জানায়, উপজেলার পরানপুর, বাউখোলা, চাঁদকাটি, শ্রীমন্তকাটি, গোনালী নলতা ও পাইকগাছা উপজেলার কাশিমনগর গ্রামের ৯ জেলে প্রায় এক মাস পূর্বে ২টি ট্রলার যোগে সাগরের আলোরকোল নামক স্থানে মাছ ধরতে যায়। গত ৩ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) ঘূর্ণিঝড় নাডার কবলে পড়ে ট্রলারগুলি সাগরে তলিয়ে যায়। এ সময় ৯ জেলের মধ্যে ৪ জন জেলে কোন রকমে প্রাণে বেঁচে থাকলেও সোমবার রাতে বাসুদেব অধিকারী (৩৫) নামের এক জেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। নিখোঁজ ৫ জনের এখনও কোন হদিস পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক সন্তানের জনক বাসুদেব অধিকারীর লাশ বাড়িতে নিয়ে আসলে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। তাঁর স্ত্রী ,শিশুপুত্র, মা, বাবার কান্নায় এলাকার আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। তালা থানার ওসি মোঃ ছগির মিঞা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এদিকে তালা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার ও ইসলামকাটি ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যাপক সুভাষ চন্দ্র সেন নিহতের বাড়িতে গিয়ে স্বজনদের স্বান্তনা দেন এবং নিখোঁজ ব্যক্তিদের বাড়ীতে গিয়ে তাদের পরিবারের খোঁজখবর নেন।