কালিগঞ্জ

কালিগঞ্জে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ঘুষ দূর্নীতি অভিযোগ

By daily satkhira

March 06, 2018

তরিকুল ইসলাম লাভলু : কালিগঞ্জ উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার তুষার কান্তি মন্ডল এবং সমিতির পরিচালক সাব্বির আহমেদ ওরফে বিদ্যুৎ এবং নাজমুল হোসেন ওরফে বাবুর বিরুদ্ধে নানাবিধ ঘুষ দূর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘুষ নিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ, মিটার স্থাপন, খুঁটি বসানো, স্থানান্তর সহ গ্রাহক হয়রানি এবং সাধারণ গ্রাহকদের সঙ্গে অসদচারণের প্রতিকার চেয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রী আলহাজ্ব অধ্যাপক ডাঃ আ ফ ম রুহুল হক, সংসদ সদস্য এস,এম, জগলুল হায়দার, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক সংসদ আলহাজ্ব মুনসুর আহমেদ, সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বরদের সুপারিশকৃত অভিযোগ গত ৩০ ডিসেম্বর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার বরাবর করেও কোন লাভ হয়নি। উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘুষ দুর্নীতি আরও বেড়ে যায়। উপায়ন্তর না পেয়ে এলাকাবাসী প্রধান মন্ত্রীর নিকট অভিযোগ সহ সাংবাদিকদের নিকট ধর্ণা দিয়ে বেড়াচ্ছেন প্রতিকারের আশায়। এলাকাবাসীর অভিযোগের সূত্র থেকে জানা যায়, কালিগঞ্জ উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অফিসে তুষার কান্তি মন্ডল ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার হিসাবে যোগদানের পর হতে নিজেকে দলীয় পরিচয় দিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পরিচালক সাব্বির আহমেদ ওরফে বিদ্যুৎ এবং নাজমুল হোসেন ওরফে বাবু ও কতিপয় দালালদের নিয়ে একটি সিন্ডিকেট গড়ে তোলে এবং তাদের মাধ্যমে নতুন সংযোগে মিটার প্রতি ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা এবং খুঁটি বসানো, স্থানান্তরের নাম করে ২০-৩০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে ভুক্ত ভোগীরা অভিযোগে উল্লেখ করেছেন। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী যখন ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছানোর প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন ঠিক তার বিপরীতে কালিগঞ্জের পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ঘুষ ছাড়া এবং সিন্ডিকেট ছাড়া কারও বাড়িতে বিদ্যুৎ এর মিটার বা সংযোগ লাগছে না। বিশেষ করে নলতা ও তারালী ইউনিয়নের শত শত লোক কালিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নিয়ম অনুযায়ী ২০১৫ সাল হতে অনলাইনের মাধ্যমে সংযোগ পাইবার জন্য আবেদন করেও আজও পর্যন্ত বাড়িতে মিটার লাগানো সম্ভব হয়নি। ডি,জি,এম তুষার কান্তি মন্ডল ও পরিচালকদের দাবিকৃত টাকা দিলে তার পর দিনে বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ পৌছে যাচ্ছে। বরেয়া আশ্রায়ন প্রকল্পের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী ৮ বছর আগে বিদ্যুৎ সংযোগের নির্দেশ দিলেও গত এক মাস আগে ঘর প্রতি ২২ শত টাকা নিয়ে মিটার বা সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে বলে ভুক্ত ভোগীরা জানান। পূর্ব নলতা গ্রামের রঞ্জু আহমেদ গত ১১/১/১১ ইং তারিখে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অফিসের নিয়ম অনুযায়ী ৩ হাজার ৭শত ২১ টাকা জমা এবং ডিজিএম পরিচালকদের ১০ হাজার টাকা খুঁটি সরানোর জন্য ঘুষ দিলেও আজও পর্যন্ত তার কোন সুরহা হয়নি। গোপালপুরগ্রামের ইশার আলী, বারি গাজী, আব্দুর রহিম, রশিদ, আমিন, তারালী গ্রামের বৈদ্য নাথ, রহিমপুর গ্রামের আকরাম, মুশফিক, রহিমা খাতুন, আব্দুর রউফ, ফুলজান, রাশিদা, মনিরুজ্জামান, রিপন, আরিজুল, গোপালপুর গ্রামের উষা রানী, ইব্রাহীম আলী সহ নলতা, পাইকাড়া, ইন্দ্রনগর, কাজলা গ্রামের ২শতাধিক ব্যক্তি জানান আমরা গত ২ বছরে বেশি সময় ধরে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের নিয়ম অনুযায়ী টাকা জমা দিলেও আজও পর্যন্ত মিটার পায়নি। কিন্তু ডিজিএম পরিচালকদের আজ টাকা দিলে কাল মিটার বসিয়ে দিচ্ছে। অনেকে আক্ষেপ করে বলেন আমরা গরীব বলে কি মানুষ না ? বিষয়টি নিয়ে কালিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজারের অফিসে গেলে তাকে না পাওয়ায় তার মুঠো ফোনে ফোন দিলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠেন এবং বলেন আমি মিটিংয়ে ব্যস্ত আছি পারলে কাল আমার অফিসে আসেন।