শ্যামনগর

সুন্দরবনে সরকারি ভাবে কাঁকড়া আহরণ শুরু : বন্ধ হয়নি বনরক্ষীদের ঘুষ বানিজ্য

By daily satkhira

March 08, 2018

আব্দুল্লাহ আল মামুন, মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুন্দরবনে সরকারি ভাবে কাঁকড়া আহরণ শুরু হয়েছে। গত ১লা মার্চ থেকে কার্যক্রম শুরু হয়ে চলবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ১লা জানুয়ারী পর্যন্ত ফেব্রুয়ারীর শেষ পর্যন্ত ২মাস কাঁকড়ার ডিম ছাড়ার মৌসুমে সরকারিভাবে সুন্দরবন থেকে কাঁকড়া আহরণ বন্ধ রাখা হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় সরকারিভাবে সুন্দরবন থেকে কাঁকড়া আহরনের পাস। তবে সুন্দরবনের অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথে কাঁকড়া আহরণকারীদের সাথে যোগ সাজসে বন্ধ মৌসুমে বন্ধ হয় না কাঁকড়া আহরণ। তথ্য সংগ্রহ কালে সুন্দরবনে কাঁকড়া আহরণকারী মুন্সীগঞ্জের রফিকুল, জাকির, হাসান, মারুফ দৈনিক জন্মভূমির প্রতিবেদককে জানান, জানুয়ারী ও ফেব্রুয়ারী মাসে সরকারিভাবে কাঁকড়া আহরণ বন্ধ থাকলেও ২শ টাকা সরকারি রাজস্বের স্থলে স্মার্ট টিমের টাকাসহ প্রতি জেলের ১সপ্তাহের ২জনের পাসে ১৫-১৬শ টাকা উৎকোচ দিয়েছে ফরেস্ট স্টেশনে। অনেক কাঁকড়া আহরণকারীরা এই অতিরিক্ত টাকার চাপে অপারগতা প্রকাশ করলে বন বিভাগের নিয়োজিত দালালদের মাধ্যমে তাদের শায়েস্তা করার হুমকি দিয়েছে। এব্যাপারে গণ মাধ্যমে ঢালাওভাবে খবর প্রকাশ করা হলেও টনক নড়েনি বন বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের। বন্ধ হয়নি বনরক্ষীদের ঘুষ বানিজ্য। হরিনগর গ্রামের মৎস্য আহরণকারী সোলাইমান, ধুমঘাট গ্রামের আকবর জানান, সরকারীভাবে সুন্দরবন থেকে কাঁকড়া আহরণ শুরু হলেও বন রক্ষীদের ঘুষ না দিলে পারবো না কেউ সুন্দরবনে ঢুকতে। বনরক্ষীরা নানা অভিযোগ খাড়া করে বিপাকে ফেলবে জেলেদের। ১লা মার্চ কাঁকড়া আহরণের পাস দিয়েছে বন বিভাগ। কিন্তু, পাস সমর্পণ করতে ৭শ টাকা লাগবে বলে দালালদের মাধমে জানিয়ে দিয়েছে কৈখালী , কদমতলা, বুড়িগোয়ালীনি ও কোবাতক স্টেশন কর্মকর্তা। লটাবেকী টহল ফাঁড়ির বনরক্ষীরা তাদের ট্রলারে টেনে জেলেদের অভয়ারণ্য এলাকায় নিয়ে মাছ কাঁকড়া আহরণ করাচ্ছে। অথচ স্মার্ট টিম বিষয়টি জানার পরেও ঐলাকায় অভিযানে যায়না। লোক দেখানো নিয়মিত টহল করে স্মার্টটিম স্প্রীড বোর্ড চালিয়ে সরকারের কোষাগারের টাকা ঠিকই ব্যয় করছে। সুন্দরবন থেকে ফিরে আসা আরও অনেক জেলে জানান, সবচেয়ে জেলেদের কাছ থেকে ঘুষ বানিজ্যে রেকর্ড সৃষ্টিকারী দুই বন কর্মকর্তা বেলাল হোসেন ও মিঠুৃ তালুকদার কে পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের স্মার্টটিমের টিম লিডার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। একই কথা বলেছেন, বন প্রহরী মিজানুর রহমান। তিনি জানান, কোন ভাল ও স্বচ্ছ মানুষকে সুন্দরবনের কোন ভাল পোস্টিং দেওয়া হয়না। কারণ, মজার যায়গায় চাকরী করতে গেলে তদবীর ছাড়া হয়না। ভাল মানুষ তো তদবীর করতে পারে না। তাছাড়া প্রতিনিয়ত খবর আসছে স্মার্টটিমের জেলেদের কাছ থেকে ঘুষ গ্রহানের কথা। লোক দেখানো ২-১টি ট্রলার, জাল জব্দ করলেও তাদের মুখের ভাষ্য- আসামী খুজে পায় না। এসব খবর গণ মাধ্যমে প্রকাশের পর স্মার্টটিমের লিডার বেলাল হোসেন একজন সাংবাদিক কে বলেন, লিখে লাভ হবে না। বড় বড় পত্রিকার সম্পাদক তার অনেক বন্ধু আছে। একই কথা বলেন, লটাবেঁকী টহল ফাড়ির কর্মকর্তা নুরুল আলম। এব্যাপারে কথা হয় পশ্চিম সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বশিরুল আলম মামুনের সাথে। তিনি বলেন, অনেক অভিযোগ মিডিয়া বা বিভিন্ন মাধ্যমে শুনতে পাচ্ছি। গোপনীয় তদন্ত চলছে আরও একটু অপেক্ষা করেন। প্রমান হলে ব্যবস্থা ঠিকই হবে। যেই অপরাধী হোক না কেন? অমি পশ্চিম সুন্দরবনের ডিএফও এর দায়িত্বে থাকাকালিন কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।