অনলাইন ডেস্ক: ছয় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ২০০ কেজি গাঁজা গায়েবের যে অভিযোগ উঠেছিল তারমধ্যে ১৬০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা থানার একটি পরিত্যক্ত কোয়ার্টার থেকে উদ্ধার করা হয় এই বিপুল গাঁজা।
তবে উদ্ধারের তিনদিন পর গতকাল শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসাইন সাংবাদিকদের এই গাঁজা উদ্ধারের কথা জানান। এর আগেই জানা গিয়েছিল, মাদক উদ্ধারে অনিয়মের দায়ে ছয় পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বহিষ্কারের কথা।
মো. ইকবাল হোসাইন আরো জানান, এ ঘটনায় রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সের (আরআরএফ) চার সদস্যও জড়িত। তাঁরা হচ্ছেন কনস্টেবল মহিউদ্দিন, ইব্রাহিম, তাজুল ইসলাম ও আবদুল আজিজ। এদের চারজনকেও প্রত্যাহার করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আরআরএফ পুলিশ সুপারের কাছে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। জানা গেছে, গায়েব করা এসব গাঁজা তারা পরে বিক্রি করত।
দায়িত্বে থাকা যেকোনো থানার কোনো পুলিশ সদস্য কোনো অন্যায় করলে ছাড় দেওয়া হবে না বলেও জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।
এর আগে গত বুধবার সাময়িক বরখাস্ত করা হয় কসবা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শ্যামল মজুমদার ও মো. মনির হোসেন, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. সালাহ উদ্দিন ও মো. ফারুক আহাম্মদ, পুলিশ কনস্টেবল মো. শাহজাহান ও কনস্টেবল আবুল কাশেমকে। গাঁজা আত্মসাতের ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর থেকেই পলাতক এই ছয় পুলিশ সদস্য।
পুলিশ জানায়, গত মঙ্গলবার দুপুরে কসবা সীমান্ত থেকে দুটি প্রাইভেটকারে করে বিপুল গাঁজা নিয়ে ঢাকার পথে রওনা দেয় দুই মাদক ব্যবসায়ী। কসবা থানা পুলিশ গোপন সংবাদ পেয়ে পৌর এলাকার টি আলী বাড়ি মোড়ে গাড়ি দুটি তল্লাশি করে। তারা বিপুল গাঁজা উদ্ধার এবং ওই দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে। কিন্তু পরে এএসআই সালাউদ্দিন ৪০ কেজি গাঁজা উদ্ধার দেখিয়ে একটি মামলা করেন।
এরপর বিপুল গাঁজা সরিয়ে ফেলার অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার রাতে ঘটনাস্থলে যান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসাইন। তিনি থানার একটি পরিত্যক্ত কোয়ার্টার থেকে ১৬০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেন।